জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أُحِلَّتْ لَنَا مَيْتَتَانِ وَدَمَانِ: الْمَيْتَتَانِ: الْحُوتُ وَالْجَرَادُ وَالدَّمَانِ: الْكَبِدُ وَالطِّحَالُ . رَوَاهُ أحمدُ وابنُ مَاجَه وَالدَّارَقُطْنِيّ
আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’ প্রকারের মৃত এবং দু’ প্রকারের রক্ত আমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। সে মৃত দু’টি হলো, মাছ ও টিড্ডি। আর দু’ প্রকারের রক্ত হলো যকৃৎ ও প্লীহা।
(হাসান : মুসনাদে আহমাদ ৫৭২৩, মুসনাদুশ্ শাফি‘ঈ ১৫৬৯, মা‘রিফাতুস্ সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাক্বী ৫৮২৫)
★চিংড়ি সম্পর্কে চার মাযহাবের উলামায়ে কেরামদের মধ্য মতবিরোধ রয়েছে। শা'ফী, মালিকী,ও হাম্বলী মাযহাবের উলাময়ে কেরামগণ চিংড়িকে জায়েয বলে মনে করেন।
চিংড়ি নিয়ে হানাফী মাযহাবের উলামায়ে কেরামদের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে। কেউ কেউ মাকরুহে তাহরীমি মনে বলেন।আবার কেউ মাকরুহে তানযিহি বলেন। অর্থাৎ তাহরীমি মনে না করলেও না খাওয়াকে উত্তম ও সচেতন পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করেন। (তাকমিলাতু ফাতহুল মুলহিম-৩/৫১৩-৫১৪,আহসানুল ফাতাওয়া-৭/৩৯১,কিতাবুন নাওয়াযিল-১৪/৪১৩,কেফায়াতুল মুফতী-৯/১২৪,
ইমদাদুল ফাতাওয়া-৪/১০৩)
যেহেতু মতবিরোধ হুকুমের মধ্যে শীতিলতা নিয়ে আসে, বিধায় বর্তমানে চিংড়ি খাওয়াকে মাকরুহে তাহরীমি বলা যাবে না।বরং মাকরুহে তানযিহি তথা অনুত্তম বলতে হবে।
,
বর্তমান আমাদের উপমহাদেশের উলামায়ে কেরাম বিশেষ করে মুফতী তকি উসমানী সাহেব দাঃবাঃ ফকীহুল মিল্লাত মুফতী আব্দুর রহমান রহঃ সহ অনেকেই বলেছেন যে চিংড়ি মাছ খাওয়া স্পষ্ট আকারে জায়েজ।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
,
অনেকে বলে থাকেন কাঁটা না থাকলে তা মাছ হয় না। চিংড়ি তাহলে কি মাছ না? কাঁটা থাকা না থাকা মূল বিষয় নয়। মূল বিষয় হল, মাছ হওয়া। হানাফী মাযহাব মতে নদ নদী এবং সমুদ্রের শুধুমাত্র মাছ খাওয়া জায়েজ। অন্য প্রাণী খাওয়া জায়েজ নয়।
এখন প্রশ্ন হল, কোনটা মাছ আর কোনটা মাছ না এটি কিভাবে নির্ণিত হবে?
এর মূল বিষয় হল, জেলে এবং নদীর প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে যেগুলো মাছের মাঝে গণ্য। সেগুলো মাছ হিসেবে স্বীকৃত হবে। আর যেসব তাদের মতে মাছ নয়, বরং সামুদ্রিক প্রাণী সেসব খাওয়া যাবে না।
সেই হিসেবে জেলে ও সমুদ্র প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে চিংড়ি মাছের অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু স্কুইড, অক্টোপাশ বা কাঁকড়াকে কেউ মাছ বলে না। বরং এসব সামুদ্রিক প্রাণী।
এ কারণে চিংড়ি খাওয়াতে বিধিনিষেধ নেই। কিন্তু কাকড়া, স্কুইড, অক্টোপাশ ইত্যাদি মাছ না হওয়ায় তা ভক্ষণ করার অনুমতি দেয়া হয় না।
ولا يأكل من حيوان الماء إلا السمك، وقال: مالك وجماعة من اهل العلم بإطلاق جميع ما فى البحر الخ (هداية، كتاب الذبائح-4/442، تبيين الحقائق-6/469)
পানিতে যে সমস্ত প্রানী বসবাস করে,তার মধ্যে শুধু মাত্র মাছ খাওয়াই জায়েজ।
ولا يحل حيوان مائى الا السمك (رد المحتار-9/441
পানিতে বসবাস কারীর মধ্য হতে শুধুমাত্র মাছ খাওয়াই জায়েজ।
★মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহারের বিধান জানুনঃ-