বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি প্রথমে টাকা দিচ্ছেন।১/২মাস পর প্রডাক্ট হাতে পাবেন।এটার নাম হল,বয়ে সালাম।অর্থাৎ টাকা আগে দেওয়া এবং মাল পরবর্তীতে হস্তগত হওয়া।বয়ে সালাম জায়েয।
أما إذا كان المبيع مما ينضبط بالوصف ، ويغلب على الظن وجوده في وقت التسليم ، فتبايعا على أن يوفر له المبيع في موعده ، فهذا هو بيع السلم ، وهو جائز بالكتاب والسنة وعلى ذلك عامة علماء المسلمين .
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِذَا تَدَايَنْتُمْ بِدَيْنٍ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَاكْتُبُوهُ
হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না।(সূরা বাকারা-২৮২)
ইবনে আব্বাস রাযি বলেন,
"أشهد أن السلف المضمون إلى أجل مسمى قد أحله الله في كتابه ، وأذن فيه ) ، ثم قرأ : ( يا أيها الذين آمنوا إذا تداينتم )"
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,বয়ে সালাম কে আল্লাহ উক্ত আয়াতের মাধ্যমে হালালা করে দিয়েছেন।এবং বয়ে সালামের অনুমতি দিয়েছেন।অতঃপর ইবনে আব্বাস রাযি উপরেক্ত আয়াত তেলাওয়াত করেন।
মসনদে শা'ফেয়ী -১৩১৪,মুসতাদরাকে হাকিম-২/২৮৬,সুনানে বায়হাক্বী-৬/১৮,ইরওয়াউল গালিল-৫/২১৩)
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عباس رضي الله عنهما قال : " قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَةَ وَهُمْ يُسْلِفُونَ بِالتَّمْرِ السَّنَتَيْنِ وَالثَّلاَثَ، فَقَالَ: ( مَنْ أَسْلَفَ فِي شَيْءٍ، فَفِي كَيْلٍ مَعْلُومٍ، وَوَزْنٍ مَعْلُومٍ، إِلَى أَجَلٍ مَعْلُومٍ)
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনায় আসেন তখন মদীনাবাসী ফলে দু’ ও তিন বছরের মেয়াদি সালাম ব্যবসা করত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোন ব্যক্তি সালাম ব্যবসা করলে সে যেন নির্দিষ্ট মাপে এবং নির্দিষ্ট ওজনে নির্দিষ্ট মেয়াদে সালাম করে।(সহীহ বোখারী-২২৪০,সহীহ মুসলিম-৪২০২)
ইবনে হজর মক্কী রাহ বলেন,
"واتفق العلماء على مشروعيته إلا ما حكي عن ابن المسيب "
ইবনুল মুসাইয়্যিব রাহ ব্যতীত সমস্ত উলামায়ে কেরাম, বয়ে সালাম জায়েয হওয়ার বিষয়ে একমত।(ফাতহুল বারী-৭/৭৬)
পশ্নে উল্লিখিত সূরত হল,ক্রয়বিক্রয়ের প্রসিদ্ধ পদ্ধতি ব'য়ে সালাম।তথা মূল্যকে পূর্বে দিয়ে দেয়া।এবং পরবর্তীতে মালকে হস্তগত করা।এ পদ্ধতির ক্রয়বিক্রয় শরীয়তে অনুমোদিত।
ফাতাওয়া মাহমুদিয়্যাহ (বয়ে সালাম)-১৬/২০৯
সুতরাং এভাবে ব্যবসা করা যাবে। এবং অগ্রীম মূল্য গ্রহণ করা যাবে।এভাবে অগ্রীম মূল্য গ্রহণ করলে গ্রহণকারী সে মালের মালিক হয়ে যাবে।উক্ত গৃহীত মূল্য দ্বারা যদি কোনো অবৈধ কাজ করা হয়,তাহলে সেই অবৈধ কাজের দায়ভার সেই গ্রহীতা ব্যক্তিরই হবে।ক্রেতা বা মূল্যদান কারীর এতে কোনো গোনাহ হবে না।
তবে আপনার ভাই বাইককে হাতে পাওয়ার পূর্বে কোথাও বিক্রি করতে পারবেন না।