আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম, উস্তায, আমার পরিচিত এক বোন,বয়স ২৩/২৪ এর মতো। তার স্বামীর পরিপূর্ণরূপে যৌন ক্ষমতা লোপ পেয়েছে ৩ বছরের বেশি হলো, যেটা চিকিৎসা করেও ভাল হয় নি। তার একটা বাচ্চা আছে, বয়স ৫ বছর। ঐ বোনের স্বামী চরমমাত্রার জুলুমকারীও। দীনের বেসিক হুকুম পালন করতে গেলেও বাধা দেয়। পর্দার ব্যবস্থা করে না, ভাসুর, ভাসুর পুত্রদের সামনে বেপর্দা চলাফেরা না করলে অশালীন গালিগালাজ, অপবাদ দেয়। সামান্য এদিক সেদিক হলে তার স্বামী তাকে এমনভাবে মারধর করে যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সেই বোনটি। বোনটি কয়েকবার খুলা ত্বলাক চেয়েছে কিন্তু সে দিবে না। স্বামী তাকে বলেছে যে ঐ বোনকে এই অবস্থাতেই থাকতে হবে যত দিন না স্বামী মারা যায়। বোনের বাবা মায়ের কাছে সমস্যার কথা বলাতে তারাও বাজে ভাষায় তিরস্কার করে জামাই এর পক্ষ নিয়েছে। উল্লেখ্য বোনের বাপ মায়েরাও জাহেল, মাজার পুজারী, স্বামীর সমস্যার কথা বলাতে নিজের মেয়েকে তারা নষ্টা বলেছে, আরো অনেক অশ্লীল গালিগালাজ করেছে যেটা মুখে বলতেও রুচিতে বাধে।। এমতাবস্থায় বোনটি হয় আত্মহত্যা করতে অথবা যিনাতে জড়ানোর তীব্র আশংকা করতেসে। এ ক্ষেত্রে বোনটির উপর শরয়ী হুকুম কি হবে?

জাযাকাল্লাহ খইর উস্তায।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বামী স্ত্রীর সহবাস অধিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 990

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী প্রথম থেকেই অক্ষম হলে, স্বামীকে এক বৎসরের অবকাশ দেয়া হবে। এক বৎসর পর সক্ষম না হলে, হয়তো স্বামী তালাক দিবে, নতুবা স্ত্রী মহর ফিরিয়ে দেয়ার শর্তে খুলা তালাকের আবেদন করবে।অথবা আদালত বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে। 

فتح القدير للكمال ابن الهمام (4/ 297):
“(وإذا كان الزوج عنينا أجله الحاكم سنة، فإن وصل إليها وإلا فرق بينهما إذا طلبت المرأة ذلك) هكذا روي عن عمر وعلي وابن مسعود، ولأن الحق ثابت لها في الوطء، ويحتمل أن يكون الامتناع لعلة معترضة، ويحتمل لآفة أصلية فلا بد من مدة معرفة ذلك، وقدرناها بالسنة لاشتمالها على الفصول الأربعة. فإذا مضت المدة ولم يصل إليها تبين أن العجز بآفة أصلية ففات الإمساك بالمعروف ووجب عليه التسريح بالإحسان، فإذا امتنع ناب القاضي منابه ففرق بينهما ولا بد من طلبها لأن التفريق حقها

যদি স্বামী প্রথমে সুস্থ ও সক্ষম থাকে, এবং পরবর্তীতে অক্ষম হয়, তাহলে তখনও কি উপরোক্ত বিধান প্রযোজ্য হবে? এ সম্পর্কে বিশেষ কোনো শাখাপ্রশাখাগত মাস'আলা খুজে পাওয়া যায় না, তবে মুফতি কেফায়তুল্লাহ এবং দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফাতাওয়ার আলোকে বলা যায় যে, এক্ষেত্রেও পূর্বের মত বিধান প্রযোজ্য হবে। তথা স্বামীকে এক বৎসর পর্যন্ত অনুমোদন দেয়া হবে।

التاج والإكليل لمختصر خليل (5/ 265)    
(ولها التطليق بالضرر ولو لم تشهد البينة بتكرره) 

شرح مختصر خليل للخرشي (4/ 9)
ولها التطليق بالضرر ولو لم تشهد البينة بتكرره 

البناية شرح الهداية (5/ 490)
لأنه مانع حقها في الجماع، فينوب القاضي منابه في التسريح كما في الجب والعنة. ولنا أنه ظلمها بمنع حقها فجازاه الشرع بزوال نعمة النكاح عند مضي هذه المدة، وهو المأثور عن عثمان، وعلي، والعبادلة الثلاثة،

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (3/ 202)
ويسقط حقها بمرة ويجب ديانة أحيانا.ولا يبلغ الإيلاء إلا برضاها، ويؤمر المتعبد بصحبتها أحيانا، وقدره الطحاوي بيوم وليلة من كل أربع لحرة وسبع لأمة. ولو تضررت من كثرة جماعه لم تجز الزيادة على قدر طاقتها، والرأي في تعيين المقدار للقاضي بما يظن طاقتها نهر بحثا.

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (3/ 203)
وبه علم أنه كان على الشارح أن يقول ويسقط حقها بمرة في القضاء أي لأنه لو لم يصبها مرة يؤجله القاضي سنة ثم يفسخ العقد. أما لو أصابها مرة واحدة لم يتعرض له لأنه علم أنه غير عنين وقت العقد، بل يأمره بالزيادة أحيانا لوجوبها عليه إلا لعذر ومرض أو عنة عارضة أو نحو ذلك


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...