আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ  উস্তাদ। আমি আপনাদের আলিম কোর্সের   ২৩১০  ব্যাচের। আমার পরিবারে আমরা ৭ জন ভাই বোন।আমি সবার ছোট। আমার বোনকে আমার পরিবারের লোক জন জনতা ব্যাংকে চাকরি করে  এমন লোকের সাথে বিয়ে দিচ্ছে। আমার বোন ডিভোর্সিং এবং ওই লোকটা জনতা  ব্যাংকের একজন বড় কর্মকর্তা  আমি পদের নাম বলতে পারছি না তবে ুনি রিটায়েট করেছেন।ফিল্যান্সি নিয়ে মাস্টার্স। এখন বর্তমানে জনতা শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান।  এখন আমার কথা হচ্ছে  এটা তো জায়েজ নেই।উনি আমার চাচতো ভাই বলে আমার পরিবার কিছুতেই  আমার কথাশুনে না।ওনার সঙ্গে  বিয়ে দিচ্ছে। এনগেজমেন্ট  করেছে।আমাদের  ভোলাতে এনগেজমেন্ট  ছাড়া বিয়ে খুব কম হয়।এর পর কথা বলাবলি করে।কাউকে এই হারাম সমপর্কে  বললে পাত্তা  দেয়না।আমার বাবা মা ওখানে বিয়ে দিবেই।আমি বললে আমাকে নানান অযুহাত  দেখায়।আমার বয়স ২৩ বছর।আমার ভাই ভাবি অনেক অশান্তি  করে।এই সব আমাকে একজাম্পল হিসেবে দেখায়।তারা বলে ঘরের এই অশান্তির চেয়ে যেই কোন বিয়ে দিলেি হয় হারাম হালাল দরকার নাই।আমার বাবা ব্যবসা করলে কি হবে সকল কর্তৃত আমার বড় ভাইয়ের উপর।সে তার বউ অনেক মানুষিক ভাবে টর্চার  করে।আমাদের  সবসময় বলে তাদের পছন্দ  মতো বিয়ে না করলে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে।উস্তাদ  আমি পর্দা করি বং হালাল, হারাম মেনে চলার চেষ্টা  করি।কিন্তু  সবাই বাহিরের পর্দা পছন্দ  করে ঘরের পর্দা পছন্দ  করে  না। দেখতে  আসলে ছেলে বাবা আত্মীয়  স্বজনরা সবাই  আসে  সবাি দেখতে চায়।আমার পরিবারের  কেউ যেহেতু পর্দা করে না তাই সে রকম আসেও না।এজন্য আমাকে প্রতি নিওত কথা শুনতে হয়।সকল কাজ কর্মে দোষ ধরে আর কথা  শুনায়।আমি যেহেতু পরিবারের ছোট তাই কেউ আমার কথায় পাত্তা দেয় না।আপনি নিশ্চয়ই  বলবে নসিহা করতে বললে বলে হাদিস থো পরের বারি যাইয়া হাদওস কওইস।আমার বড় ভাই চাইতো আমি চাকরি করি কিন্তু এখন করবো না বলে আমার মনে হয় সে আরো বলে বের হও।ভাই বলে আর কয়কাল খাওয়ামু আবার বাবাও তার সাথে।টেনেটুনে  ছেলের বাবা, চাচার সামনে  নিয়ে যায়।  কি করবো বুঝতে পাছি না।আপনি বলবেন হয়তো  আহলিয়াতে ফরম করতে কিন্তু  উস্তাদ  আমাবাবা, মা কখনই এই ভাবে দেখবে না।১) উস্তাদ  আমার জন্য দোয়া করবেন  আমি যেন পর্দা এবং হালাল,হারাম মেনে চলতে পারি।উনারা যা বলবে তাই বাধ্য করে যেমন আমার বোনকে  বাধ্য করছে। তিন মাস পড়ে বিয়ে হয়তো কথা বলাবলি ও করবে। দোয়া চাই উস্তাদ  আল্লাহ যেন এই অনাচার থেকে আমার বনকে হেফাজত  করেন।       ২)উস্তাদ  এখন মুল প্রশ্ন হচ্ছে  যদি এই ব্যাংকারের কাছে আমার বোনের বিয়ে হয়ে যায়।তাহলে যেহেতু আমার আত্মীয়  হবে পরবর্তীতে  আমি হয়তো আমার যখন ইংশাআল্লাহ বিয়ে হবে আমি আমার সন্তান , স্বামী কি তাদের কাছ থেকে কিছু  নিতে পারবো।তাদের বাড়ি বেরাতে পারবো,ওদের টাকা কি খেতে পারবো।      ৩) উস্তাদ  আপনারা বলেন লোক জনকে দাওয়াত দিতে।নিজের ঘরের লোকরাই তো কথা শুনে না অন্যানেরা শুনবে। তারা আরো তুলনা দেয়।কি করবো বুঝি না।৪)উস্তাদ  আমার জন্য  আপনারা সবাই একটু দোয়া করবেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার যেন  আমাকেম পর্দা ও হালাল,হারাম মেনে চলা সহজ করেন এবং আমাকে একজন চক্ষু শীতল কারি  জীবন  সঙ্গী  দেন। ৫) এখন আমি মাঝে রববের প্রতি কেমন যেন রাগ হয়ে যাই আল্লাহুম্মাগ ফিরলি। যে শবে কদরে আমার বোনের তকদিরে হারাম রিজিক লিখেছিল। আমাদের এমন বাবা,মা দিল, যাবেন স্যার আমার একজন বোন বাদে সব বোনই অশান্তিতে আছে।রবের প্র তি খুব কষ্ট  আসে।আমার ইমান টা যেন ধরে রাখতে পারি। আমি যেন অসন্তুষ্ট  না হই।সবর করবে পারি। আল্লাহুম্মা আমিন

1 Answer

0 votes
by (712,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী
তুমি দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২,সহীহ মুসলিম-১৪৬৬) বিস্তারিত জানুন- 18

ব্যাংকের জব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 398 

স্বামীর ইনকাম হারাম হলে স্ত্রীর করণীয় কি? 
সে সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- 782

সম্মাণিত দ্বীনী বোন!
দ্বীনদার জীবনসঙ্গী-ই জীবনের অনেক বড় পাওয়া।নিজে নিজে পাত্র দেখে বিয়ে করাটা যদিও জায়েয।তবে তা অদ্য কোনো মুসলিম/ মুসলিমার জন্য সমুচিত হবে না।এক্ষেত্রে লজ্জার বিষয়টাও বিবেচ্য।হ্যা পরিবার সাধারণত যেরকম পাত্রর কথা বলে থাকে,সেরকম পাত্রকে বিয়ে করাটাও আবার নাজায়েয হবে না।কেননা শুধুমাত্র ঈমান এবং আক্বিদা-বিশ্বাস বিশুদ্ধ থাকলেই তার সাথে বিয়েনশাদী বৈধ থাবে।যদিও তা উত্তমতার খেলাফ।

আপনারা ফ্যমিলির সদস্যবৃন্দকে বুঝাতে থাকবেন। এবং আল্লাহর কাছে দু'আ করতে থাকবেন।বলা তো যায় না কখন আপনার দু'আ আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 95781

সম্মাণিত দ্বীনী বোন!
আপনি সর্বদা নিজ পরিবারের হেদায়ত চেয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন। বিশেষকরে তাহাজ্জুদের নামায পড়ে দু'আ করবেন। ইনশা'আল্লাহ' সমাধান হবেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...