ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) হাদীসের কোনো অংশকে আয়াত বলা যাবে না। কেননা আয়াত শব্দের শাব্দিক অর্থ হল, আলামত,নিদর্শন। এবং পারিবারিক অর্থ হল, আল্লাহ তা'আলার নির্দিষ্ট কিছু কথা যা পূর্বের এবং পরের কথা থেকে পৃথক।
(২) " হাশরের ময়দানে মিযানের পাল্লায় নামাজ, রোজা, কুরআন তেলাওয়াতকারীর থেকে সুন্দর ব্যবহারকারীর পাল্লা বেশি ভারী হবে "
এমন কোনো হাদিস বিশুদ্ধ সনদে জানা নেই।
(৩)
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُم
"যে ব্যক্তি কোনো জাতির অনুকরণ, অনুসরণ ও সামঞ্জস্য বিধান করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে এটা হবে (আবূ দাঊদ ৪০৩১)
এখানে অন্য ধর্মের ধর্মীয় বিষয়ে অনুসরণের কথা বলা হচ্ছে।
(৪) মাদ্রাসায় উস্তাদের সামনে বসে কিতাব থেকে দ্বীন শিক্ষা করা, অন্যদিকে লাইব্রেরী থেকে বাংলা বই পড়ে দ্বীন শিক্ষা করা; উভয়ের মধ্যে সনদের পার্থক্য ছাড়া অন্য কোনো বিশেষত্ব নাই। হ্যা, যারা দ্বীন শিক্ষার পর আমল করবে, অবশ্যই তারা শ্রেষ্ট হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৫) আলেম না হয়ে যারা বই লিখেন, তারা নিজস্ব চিন্তাভাবনার আলোকেই লিখেন, সেজন্য ঐ সমস্ত বই অনিরাপদ বলে বিবেচিত হয়।তবে বইগুলো যে ভুল বা ভুলে ভড়া এমনটাও বলা যাবে না। দ্বীন উস্তাদের কাছেই শিখতে হয়। দ্বীন শিখানোর জন্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' কে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-১০৩৭
(৬) আল্লাহ নবীজি সাঃ এর নাম থাকলে সব বই ইসলামিক বই হয়ে যাবে কি না? তা নির্ভর করবে, সেই বইয়ের মধ্যে কি লিখা রয়েছে, তার উপর।
(৭) সাধারণ মানুষের লিখা বইকে বিজ্ঞজন আলেমের সান্নিধ্যে থেকেই পড়তে ও মানতে হবে।