আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,
গত দুদিন হলো আমার আব্বু আম্মুকে আমি, আমার ভাই, দাদী, কাকা সবার সামনে হাজার বার করে বলেছে, ওর সাথে আমি আর সংসার করবো না, এতে যদি আমার আত্মহত্যা করতে হয় করবো। ওর সাথে আমি আর সংসার করবো না এতে যদি আমার জাহান্নামে যেতে হয় তাও আমি যাবো। আমি আব্বুকে বুঝাতে গেলে আব্বু বলে তোমার আম্মুর মুখ দেখা আমার জন্য এখন হারাম। আমি তোমার আম্মুর সাথে আর সংসার করবো না এটাই শেষ কথা। কিন্তু আব্বু মুখ দিয়ে তালাক শব্দটি উচ্চারণ করেনি। আর গত 26 বছরের সংসারে আব্বু অসংখ্য বার আম্মুকে এসব কথা শুনিয়েছে, দুদিন পর আবার ঠিকঠাক হয়ে যেত।
উল্লেখ্য আমার আব্বুর রাগ স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত। যখন রেগে যায় তখনই সে যা মন চায় তাই বলে। কাউকে পাত্তা দেয়না। আমার প্রশ্ন হলো, আব্বু আম্মুর কী আসলেও তালাক হয়ে গেছে?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

ফাতাওয়ার কিতাবে আছেঃ- 

أفتى المتأخرون فى “انت على حرام” بأنه طلاق بائن للعرف بلا نية (رد المحتار، زكريا-4\466، كرتاشى-3\253)

মুতায়াখখিরিনে উলামায়ে কেরামগন ফতোয়া প্রদান করেছেন "তুমি আমার উপর হারাম" বললে নিয়ত ছাড়াই বায়েন তালাক পতিত হবে। 
সমাজের প্রচলনের কারনে।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ৪/৪৬৬)

في البحر الرائق: لو قال لها: أنت علي حرام، والحرام عنده طلاق وقع وإن لم ينو.وذكر الإمام ظهير الدين لا نقول لا تشترط النية ولكن نجعله ناويا عرفا.

স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, তুমি আমার উপর হারাম। আর হারাম শব্দটিকে সে তালাকের অর্থেই বুঝে থাকে তাহলে স্বামী তালাকের নিয়ত না করলেও তালাক পতিত হবে। ইমাম জহীরুদ্দীন রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমরা এ কথা বলি না যে, এ ক্ষেত্রে নিয়তের শর্ত নেই, নিয়ত ছাড়াই তালাক হয়ে যাবে। বরং আমরা বলি—সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এটি এমনিতেই নিয়ত হিসেবে গণ্য হয়ে যাবে। (আল-বাহরুর রায়িক : ৩/৫২৩)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

فتاوی شامی  :

"(وإذا أضاف الطلاق إليها) كأنت طالق (أو) إلى (ما يعبر به عنها كالرقبة والعنق والروح والبدن والجسد) الأطراف داخلة في الجسد دون البدن. (والفرج والوجه والرأس) وكذا الاست، بخلاف البضع والدبر والدم على المختار خلاصة (أو) أضافه (إلى جزء شائع منها) كنصفها وثلثها إلى عشرها (وقع) لعدم تجزئه.

(قوله والفرج) عبر عن الكل في حديث «لعن الله الفروج على السروج» قال في الفتح إنه حديث غريب جدا".

(کتاب الطلاق،باب صریح الطلاق،ج:3،ص:256،سعید)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার আম্মুর উপর এক তালাকে বায়েন পতিত হয়েছে।

এমতাবস্থায় আপনার বাবা পুনরায় আপনার আম্মুকে নিয়ে ঘর সংসার করতে চাইলে নতুন করে মোহরানা ধার্য করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
আব্বু আমাকে বলেছে যে তোমার আম্মুর মুখ দেখাও এখন আমার জন্য হারাম। আম্মুকে সরাসরি বলেনি। তখন আম্মু সামনে উপস্তিত ছিল না। কিন্তু আমি আর তোমার সাথে সংসার করবো না এটা আম্মুকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলেছে অনেকবার। এতেও কি তালাক কাউন্ট হবে?

আব্বু আম্মু কারোরই দ্বীনের বুঝ তেমন নেই, এখন তারা আবার স্বাভাবিক ভাবে সংসার করা শুরু করেছে। তারা যদি পুনরায় বিবাহ না করে তাতে কী তাদের এই একসাথে থাকাটা গুনাহ হবে?
by (566,160 points)
–1
হ্যাঁ, গুনাহ হবে।
নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...