বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাযি থেকে বর্ণিত
ﻭﻋﻦ ﻋﻤﺮﺍﻥ ﺑﻦ ﺣﺼﻴﻦ ﺃﻧﻪ ﻣﺮ ﻋﻠﻰ ﻗﺎﺹ ﻳﻘﺮﺃ ، ﺛﻢ ﻳﺴﺄﻝ ﻓﺎﺳﺘﺮﺟﻊ ، ﺛﻢ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻳﻘﻮﻝ : ( ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻓﻠﻴﺴﺄﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻪ ﻓﺈﻧﻪ ﺳﻴﺠﻲﺀ ﺃﻗﻮﺍﻡ ﻳﻘﺮﺀﻭﻥ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻳﺴﺄﻟﻮﻥ ﺑﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ ) ﺭﻭﺍﻩ
ﺃﺣﻤﺪ ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ
তিনি একবার এক বক্তার পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন,দেখলেন যে, সে কুরআন পড়ে পড়ে মানুষের নিকট থেকে সওয়াল করছে।
তখন তিনি বললেন, ইন্নালিল্লাহ......... ।
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেছেন,যে ব্যক্তি কুরআন পড়বে সে যেন আল্লাহর নিকট এই কুরআন দ্বারা কিছু চায়।অচিরেই কিছু এমন লোকের আত্মপ্রকাশ ঘটবে,যারা কুরআন পড়বে ঠিকই কিন্তু এর দ্বারা তারা লোকদের নিকট সুওয়াল করবে।
মিরকাতুল-মাফাতিহ-২২১৬।
কুরআন পড়ে আল্লাহর নিকট দু'আ করা যায়। এবং দু'আ কবুল ও হয়।কিন্ত বিশেষ কোনো সংখ্যাকে কুরআনের কোনো অংশের সাথে দলীল-প্রমাণ ছাড়া নির্দিষ্ট করে দেয়া কখনো জায়েয হবে না।
সূরায়ে ফাতেহাকে ৪১ বার ৪১দিন পড়ার কোনো ত্বরিকা বা নিয়ম কুরআন-হাদীসের কোথাও আসেনি।তাই একে কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত কোনো আ'মল মনে করা ঠিক হবে না।
তবে অনেক সালাফ তথা পূর্ববর্তী নেককারগণ এ ব্যাপারে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন,যে কোনো সূরা বিশেষকরে সুরায়ে ফাতাহাকে ৪১দিন ৪১বার করে পড়লে দু'আ কবুল হয়।বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য তদবির করলে ফল পাওয়া যায়।
তথা সকল প্রকার চিকিৎসার মূল উৎস হিসেবে সেটা কাজ করে।
যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ কুরআন দ্বারা আল্লাহর নিকট সুওয়াল করতে বলেছেন,তাই আল্লাহ সামনে নযরানা পেশ করা হিসেবে এমনটা করা যেতে পারে।এক্ষেত্রে ৪১কে মানদন্ড মনে করা উচিৎ হবে না।বরং অনায়াসে কমবেশ করা যাবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
পরামর্শ প্রদাণে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ