অবৈধ গ্যাসে রান্না করা খাবার খাওয়া কি কখনও মাযুর অবস্থায় বৈধ হবে?

Question

বাড়িতে অবৈধ গ্যাসে খাবার রান্না করা হয়,খাবার খেতে চাই না বলে নিজে আলাদা কারেন্টে রান্না করি কিন্তু এতে পরিবারে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।এমতাবস্থায় আমি কি মাযুর হিসেবে পরিবারের সাথে অবৈধ গ্যাসের রান্না খেতে পারবো? নাকি সংগ্রাম চালিয়ে যাবো যতদিন বৈধ গ্যাস না দেওয়া হয়।ঈদের পর থেকে অবৈধ গ্যাসের খাবার গ্রহন করা হয় নি, আজ না পেরে খেয়ে ফেলেছি,এখন আমার ইবাদত কতদিন কবুল হবে না?

Answer 1

জবাবঃ-

بسم الله الرحمن الرحيم 

অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।

কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (মিশকাতুল মাসাবিহ, তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)

আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যখনই এই অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করে খানা পাকানো হবে,তখনই সেই খাবার হারাম মিশ্রিত হবে।

তবে সেই খাবারে হালালের আধিক্যতার কারনে আপনার দোয়া ইবাদত কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!

আপনার জন্য করনীয় হলো বাবা মাকে বুঝিয়ে যেভাবেই হোক অবৈধ গ্যাস ব্যবহার বন্ধ করা।

এই অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করে যেই খাবার রান্না করা হয়েছে,ব্যবহৃত সেই পরিমান গ্যাসের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।

জমা দেয়া সম্ভবপর না হলে আপনার বাবা যেনো সেই পরিমান টাকা গরিব মিসকিনকে দান করে দেন।        

আপনার কথা তারা না মানলে সেক্ষেত্রে আপনি আলাদা ভাবে বৈধ পদ্ধতিতে খাবার রান্না করে খেতে পারেন।

তবে যদি বাবা মার সাথে তাদের রান্না করা খাবার খান,সেক্ষেত্রে সেই খাবারে হালালের আধিক্যতার কারনে আপনার দোয়া ইবাদত কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।