জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
দূর্ণীতি,অন্যের মাল আত্মসাৎ, মসজিদের টাকা চুরি করা ইত্যাদি হারাম।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
﴿ٱلَّذِينَ طَغَوۡاْ فِي ٱلۡبِلَٰدِ ١١ فَأَكۡثَرُواْ فِيهَا ٱلۡفَسَادَ ١٢ فَصَبَّ عَلَيۡهِمۡ رَبُّكَ سَوۡطَ عَذَابٍ ١٣ إِنَّ رَبَّكَ لَبِٱلۡمِرۡصَادِ ١٤ ﴾ [الفجر: ١١، ١٤]
“যারা দেশে সীমালঙ্ঘন করেছে এবং তাতে বড় বেশি দুর্নীতি করেছে, তখন তাদের ওপর তোমার প্রভু শাস্তির কশাঘাত হানলেন। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।” (আল-কুরআন, ৮৯: ১১-১৪)
মহান আল্লাহ বলেন:
﴿ وَلَا تَأۡكُلُوٓاْ أَمۡوَٰلَكُم بَيۡنَكُم بِٱلۡبَٰطِلِ وَتُدۡلُواْ بِهَآ إِلَى ٱلۡحُكَّامِ لِتَأۡكُلُواْ فَرِيقٗا مِّنۡ أَمۡوَٰلِ ٱلنَّاسِ بِٱلۡإِثۡمِ وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ١٨٨ ﴾ [البقرة: ١٨٨]
“তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং মানুষের ধন-সম্পত্তির কিছু অংশ জেনে-শুনে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তা বিচারকদের কাছে পেশ করো না।” (আল-কুরআন, ২:১৮৮)
মহান আল্লাহ আরো বলেন:
﴿ فَكُلُواْ مِمَّا رَزَقَكُمُ ٱللَّهُ حَلَٰلٗا طَيِّبٗا وَٱشۡكُرُواْ نِعۡمَتَ ٱللَّهِ إِن كُنتُمۡ إِيَّاهُ تَعۡبُدُونَ ١١٤ ﴾ [النحل: ١١٤]
আল্লাহ তোমাদের হালাল ও পবিত্র যা দিয়েছেন তা হতে আহার কর এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও নি‘আমতের জন্য শোকর কর। যদি তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করে থাক। (আল-কুরআন, ১৬: ১১৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যেহেতু মসজিদের টাকা এটি পুরো এলাকার জনগনের টাকা,তাই মাসজিদের ফান্ডের টাকা আত্তসাৎ করার গুনাহ মারাত্মক।
এখানে সকলের হক রয়েছে।
যতক্ষন পর্যন্ত পুরো এলাকাবাসী তাদের মাফ না করবে,আল্লাহও তাদের এই গুনাহ মাফ করবেননা।
,
এটি খুবই জঘন্যতম অপরাধ।
তাদেরকে দ্রুত আপ্রান চেষ্টা করে কমিটি থেকে বাতিল করা পুরো এলাকাবাসীর ঈমানী দায়িত্ব।
,
তবে তাদের এই দূর্ণীতির কারনে সে মসজিদে নামাজ পড়তে কোনো অসুবিধা নেই।
মসজিদ তো আল্লাহর ঘর,এখানে নামাজ পড়তে কোনো অসুবিধা নেই।
,
উক্ত মসজিদ যদি আপনার মহল্লার মসজিদ হয়,তাহলে বিনা কারনে উক্ত মসজিদ ছেড়ে অন্য মসজিদে যাওয়া ঠিক হবেনা।
,
উক্ত মসজিদেই নামাজ পড়তে হবে।
কমিটির গুনাহের ভাগ আপনার উপর বর্তাবেনা,এটি তাদেরই গুনাহ।
,
কুরআন শরীফে এসেছেঃ
وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۚ
আল্লাহ তায়ালা কাহারো গুনাহের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেননা।
(সুরা ফাতির ১৮)
,
সমস্ত মুছল্লিরা মিলে তাদেরকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া অপরিহার্য।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ
" তরজমাঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে। এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম শরীফ-৭৩)