আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
266 views
in সালাত(Prayer) by (48 points)
আমি যদি জানতে পারি ওমুক মাসজিদের যারা কমিটিতে আছেন তারা মাসজিদের ফান্ডের টাকা নিজেরা আত্তসাৎ করেন।।এমন অবস্থায়  ওই মাসজিদে কমিটি  থাকা অবস্থায় ওই মাসজিদে কোন প্রকার নামাজ পরা যাবে কিনা? শরিয়া কি বলে এই ব্যাপারে

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


দূর্ণীতি,অন্যের মাল আত্মসাৎ, মসজিদের টাকা চুরি করা ইত্যাদি হারাম।

আল্লাহ তায়ালা বলেন    

﴿ٱلَّذِينَ طَغَوۡاْ فِي ٱلۡبِلَٰدِ ١١ فَأَكۡثَرُواْ فِيهَا ٱلۡفَسَادَ ١٢ فَصَبَّ عَلَيۡهِمۡ رَبُّكَ سَوۡطَ عَذَابٍ ١٣ إِنَّ رَبَّكَ لَبِٱلۡمِرۡصَادِ ١٤ ﴾ [الفجر: ١١،  ١٤]
“যারা দেশে সীমালঙ্ঘন করেছে এবং তাতে বড় বেশি দুর্নীতি করেছে, তখন তাদের ওপর তোমার প্রভু শাস্তির কশাঘাত হানলেন। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।” (আল-কুরআন, ৮৯: ১১-১৪)

মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ وَلَا تَأۡكُلُوٓاْ أَمۡوَٰلَكُم بَيۡنَكُم بِٱلۡبَٰطِلِ وَتُدۡلُواْ بِهَآ إِلَى ٱلۡحُكَّامِ لِتَأۡكُلُواْ فَرِيقٗا مِّنۡ أَمۡوَٰلِ ٱلنَّاسِ بِٱلۡإِثۡمِ وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ١٨٨ ﴾ [البقرة: ١٨٨]
“তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং মানুষের ধন-সম্পত্তির কিছু অংশ জেনে-শুনে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তা বিচারকদের কাছে পেশ করো না।” (আল-কুরআন, ২:১৮৮)

মহান আল্লাহ আরো বলেন:
﴿ فَكُلُواْ مِمَّا رَزَقَكُمُ ٱللَّهُ حَلَٰلٗا طَيِّبٗا وَٱشۡكُرُواْ نِعۡمَتَ ٱللَّهِ إِن كُنتُمۡ إِيَّاهُ تَعۡبُدُونَ ١١٤ ﴾ [النحل: ١١٤]
আল্লাহ তোমাদের হালাল ও পবিত্র যা দিয়েছেন তা হতে আহার কর এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও নি‘আমতের জন্য শোকর কর। যদি তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করে থাক। (আল-কুরআন, ১৬: ১১৪)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যেহেতু মসজিদের টাকা এটি পুরো এলাকার জনগনের টাকা,তাই মাসজিদের ফান্ডের টাকা আত্তসাৎ  করার গুনাহ মারাত্মক। 
এখানে সকলের হক রয়েছে।
যতক্ষন পর্যন্ত পুরো এলাকাবাসী তাদের মাফ না করবে,আল্লাহও তাদের এই গুনাহ মাফ করবেননা।
,
এটি খুবই জঘন্যতম অপরাধ।
তাদেরকে দ্রুত আপ্রান চেষ্টা করে  কমিটি থেকে বাতিল করা পুরো এলাকাবাসীর ঈমানী দায়িত্ব।     
,
তবে তাদের এই দূর্ণীতির কারনে সে মসজিদে নামাজ পড়তে কোনো অসুবিধা নেই।
মসজিদ তো আল্লাহর ঘর,এখানে নামাজ পড়তে কোনো অসুবিধা নেই।
,
উক্ত মসজিদ যদি আপনার মহল্লার মসজিদ হয়,তাহলে বিনা কারনে  উক্ত মসজিদ ছেড়ে অন্য মসজিদে যাওয়া ঠিক হবেনা।
,
উক্ত মসজিদেই নামাজ পড়তে হবে। 
কমিটির গুনাহের ভাগ আপনার উপর বর্তাবেনা,এটি তাদেরই গুনাহ। 
,
কুরআন শরীফে এসেছেঃ  

وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۚ 

আল্লাহ তায়ালা  কাহারো গুনাহের বোঝা অন্যের উপর চাপিয়ে দিবেননা।
(সুরা ফাতির ১৮)
,
সমস্ত মুছল্লিরা মিলে তাদেরকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া অপরিহার্য। 

 হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
 ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ 
" তরজমাঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে। এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম শরীফ-৭৩) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...