আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in পবিত্রতা (Purity) by (13 points)

আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,

১) আমাদের পানিতে আর্সেনিক আছে, এখন ট্যাংকে পানি নিলে দেখা যায় যে পানি একদম গাঢ় কমলা কালারের হয়ে যায়, ১/২ দিন পরই পানি কিছুটা পরিষ্কার হয়,

এক্ষেত্রে অযু/গোসলের বিধান কি? পানি কতটুকু পরিষ্কার হলে অযু/গোসলের উপযুক্ত হবে?

২) আমি কাছের অনেককে দেখেছি হাতের নখ তো কামড়ায়'ই কিন্তু নখের পাশে থাকা মাংসও খেয়ে ফেলে, এটা শরিয়তের দৃষ্টিতে কেমন উস্তায?

যেন তাদের দাওয়াহ দিতে পারি ইং শা আল্লহ

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " রয়েছে,
تغير الماء بتراب المعادن:
ذهب الحنفية والمالكية إلى أن تغير الماء المطلق بتراب المعدن لا يضر، ويجوز التطهر به؛ لأنه تغير بما هو من أجزاء الأرض. وذهب الشافعية والحنابلة إلى: أن الماء المتغير بما لا يمكن صونه عنه من تراب المعادن، بأن يكون في مقره أو ممره لا يمنع التطهر به، ولا يكره استعماله فيه. 
খনিজ পদার্থ দ্বারা পানি পরিবর্তিত হলে করণীয়ঃ
হানাফি ও মালিকি মাযহাব মতে খনিজ পদার্থ দ্বারা পানি পরিবর্তিত হয়ে গেলে কোনোপ্রকার সমস্যা হবে না।এদ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা জায়েয রয়েছে।কেননা এখানে জমিনের অংশ দ্বারা পানি পরিবর্তিত হচ্ছে।শাফেয়ী এবং হাম্বলী মাযহাব মতে,পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া এমন পানি যা খনিজ পদার্থর সাথে সংস্পর্শ হওয়া ব্যতীত অন্য কোনো উপায় নেই।যেমন পানির উৎসস্থলে বা পানির চলাচলের রাস্তায় উক্ত খনিজ পদার্থ থাকা।এমন পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।এতে কোনো সমস্যা নাই।এবং এ পানিকে ব্যবহার করাও মাকরুহ হবে না।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-১১/১৪৯) বিস্তারিত জানুন- 2198 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আর্সেনিকযুক্ত পানি দ্বারা অজু গোসলে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
হাতের নখ কামড়ানো কখন সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ হতে পারে না। এবং পাশাপাশি নখের সাথে লেগে যাওয়া মাংস খাওয়াও জায়েয হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...