দ্বীনদার কারা? হেদায়াতপ্রাপ্ত কারা?

Question

আসসালামু আলাইকুম।
অনেক মহিলাকে দেখি আগে নামাজসহ শরীয়তের বিধান কিছু মানতো না।
এখন বাহিরে পর্দা করে বের হয়,বাসায় পুরুষ আসলে হিজাব নিকাব করে। কিন্তু সর্বক্ষেত্রে করে না। অনেক সময় নন মাহরামের সামনে বেপর্দা থাকে।কন্ঠের পর্দা করে না। বুঝালে মানে না আবার নামাজ ঠিকমতো পড়ে না। টুক টাক মানে।
অন্তরে তাক্বওয়া নেই।  শরীয়তের অনেক আবশ্যক বিধান যেমন গিবত, মিথ্যা বলা বারন করলে শোনে না।
এরকম অনেক পুরুষ ও মহিলাই দেখা যায়।আগে কিছু মানতো না। এখন পাঞ্জাবী পড়ে আর মহিলারা বোরখা পড়ে। নামাজ পড়ে।তবে অন্য আমলের প্রতি উদাসীন। বুঝালে মানে না।

আবার অনেককে দেখি আগে মানতো না কিছু।এখন মানে এবং প্র্যাক্টিসিংভাবে চলে।অন্তরে তাক্বওয়া থাকে।ভুল কিছু করলে তাকে বুঝালে খুব চেষ্টা করে।সব সময় পাপ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে।দুনিয়া বিমুখ হয়। জান্নাত অর্জনই তার মূল উদ্দেশ্য হয়।

শরীয়ত মতে দ্বীনদার ও হেদায়াতপ্রাপ্ত  কারা?
যারা অন্তরে তাকওয়া নিয়ে চলে তারা নাকি শুধু লেবাস নামাজ কালাম এই টুক টাক করা অন্যগুলোর প্রতি উদাসীন ও দুনিয়ালোভী তারাও দ্বীনদার ও হিদায়াতপ্রাপ্ত?

দ্বীনদার ও হিদায়াতপ্রাপ্ত কি একই বুঝায়?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_240409_203457_688.sdocx-->

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

إِنَّ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ وَالْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْقَانِتِينَ وَالْقَانِتَاتِ وَالصَّادِقِينَ وَالصَّادِقَاتِ وَالصَّابِرِينَ وَالصَّابِرَاتِ وَالْخَاشِعِينَ وَالْخَاشِعَاتِ وَالْمُتَصَدِّقِينَ وَالْمُتَصَدِّقَاتِ وَالصَّائِمِينَ وَالصَّائِمَاتِ وَالْحَافِظِينَ فُرُوجَهُمْ وَالْحَافِظَاتِ وَالذَّاكِرِينَ اللَّهَ كَثِيرًا وَالذَّاكِرَاتِ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُم مَّغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا

নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ, ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোযা পালণকারী পুরুষ, রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ, , যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার।(সূরা আহযাব-৩৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

ইসলামের সকল বিধি-বিধানকে মানা এবং পালন করাই দ্বীনদার ও হিদায়াতপ্রাপ্ত হওয়ার আলামত। দ্বীনদার হওয়ার জন্য দ্বীনের প্রত্যেকটা বিষয়কে অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে মানতে ও পালন করতে হবে।