ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নাবালক সন্তানের মাল থাকলে, নাবালক সন্তানের উপর সদকায়ে ফিতির ওয়াজিব হবে। তার অভিভাবক তার মাল থেকে সদকায়ে ফিতির আদায় করবে। হ্যা, অভিভাবক নিজ মাল থেকেও আদায় করতে পারবে। তবে যদি নাবালক সন্তানের মাল না থাকে, তাহলে তার পিতার উপর সদকায়ে ফিতির ওয়াজিব হবে, যদি পিতা নেসাব পরিমাণ মালের মালিক থাকে, নতুবা ওয়াজিব হবে না। কিন্তু মা নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হলে, মায়ের উপর ওয়াজিব হবে না।হ্যা, তিনি চাইলে নিজ পক্ষ্য থেকে আদায় করতে পারবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
1811
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নবজাতক বাচ্চারও ফিতরা দিতে হবে। ৩ মাস বয়সের সন্তানের ফিতরাও দিতে হবে।
(২) আপনার স্বামীর যদি প্রয়োজন অতিরিক্ত অক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণ মাল থাকে, তাহলে ফিতরা ওয়াজিব হবে। যেমন, প্রয়োজন অতিরিক্ত জায়গা, আসবাবপত্র,কাপড় ইত্যাদি।
(৩) নাবালক সন্তানের উপর যাকাত ফরয হয় না।
(৪) আপনার সামান্য স্বর্ণ ও টাকা মিলে যদি ৫২.৫ ভড়ি রূপার সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে আপনার নিকট নেসাব পরিমাণ মাল রয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। এখন উক্ত মাল এক বৎসর পর্যন্ত আপনার থাকার পরই যাকাত আসবে। নতুবা আসবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
121
(৫) শুধুমাত্র ৫০০/১০০০ টাকা যাকাত দিতে হবে না। তবে অন্যান্য জিনিষ যেমন স্বর্ণ রূপা ইত্যাদির দ্বারা কারো উপর যাকাত ওয়াজিব থাকলে তখন এই টাকা গুলোরও যাকাত দিতে হবে।
(৬) এবার ফিতরার সর্বনিম্ন মুল্য ৯৯ টাকা। ১.৬৫০ গ্রাম আটার মূল্য হিসেবে।