আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
207 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)

গত অনেকদিন যাবত উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নানা ধরনের ষড়যন্ত্র লক্ষ করা যাচ্ছে। তার মাঝে একটা অন্যতম হল ভাগওয়া লাভ ট্র্যাপ। সংক্ষেপে উল্লেখ করলে- মুসলিম মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার জন্য তাদের পিছনে সর্বক্ষণ লেগে থাকা। এর ফলে যা হয়, অনেক বোন না চাইতেও আবেগের বশে তাদের প্রেমে পড়ে যায় (সহজ কথায়, ফাঁদে পা দেয়)। এরপর, জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করা হয়, এবং এর ভিডিও-চিত্র ধারন করা হয়। পরবর্তীতে, ঐ ভিডিওগুলোর সাহায্যে ব্ল্যাকমেইল করে আরও কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করা হয়। একপর্যায়ে মেয়ে প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ে, এবং এই সুযোগটিই লুফে নেয় মুশরিকরা। যেহেতু, সমাজ তাকে খারাপ বলবে, তাই ঐ হিন্দু ছেলের সাথে বিয়ে করতে চায় কিন্তু ঐ হিন্দু ছেলে ধর্ম পরিবর্তন করতে চায় না, উলটো মেয়েকেই ধর্ম পরিবর্তন করতে বলে। বাধ্য হয়ে অনেক ক্ষেত্রেই মেয়ে ধর্ম পরিবর্তন করে ফেলে। এই ট্র্যাপের নানা প্রকারভেদ আছে  এবং আছে নানা প্রেক্ষাপট। সেগুলো হতে পারে-

  1. মেয়ে নিজের ইচ্ছাতেই সম্পর্ক করেছে এবং ধর্ম পরিবর্তন করেছে।
  2. মেয়ে নিজের ইচ্ছাতেই সম্পর্ক করেছে কিন্তু তাকে, পেটে বাচ্চা আছে বলে হিন্দু ছেলেকে বিয়ের জন্য, হিন্দু হতে হয়েছে।
  3. মেয়েকে ব্রেইনওয়াশ করা হয়েছে (ঠিক যেমন জঙ্গিদের করা হয়); অর্থাৎ, বুঝানো হয়েছে ইসলামের চেয়ে হিন্দুধর্ম ভালো। এবং এত বেশি পরিমানে এটা হয়েছে যে সে ভুল বার্তা পেয়ে হিন্দু হয়ে গেল। আর যে ভুল বার্তা পায়, তাকে বুঝানো হলেও বুঝে না, এমনভাবে ব্রেইনওয়াশ হয়েছে।
  4. মেয়ের সাথে জোর করে সম্পর্ক করে Rape করা হয়েছে। এবং তাকে ব্ল্যাকমেইল করে হিন্দু হতে বাধ্য করা হয়েছে।

উপরোক্ত ক্ষেত্রগুলোতে ২-৪ এর ক্ষেত্রে মেয়েটি কি নাজাত পাবে না পরকালে? যদি বাধ্য হয়ে হিন্দু হতে বলা হয়, দুনিয়াতে মুশরিক হিসেবে পরিচয় পাক, কিন্তু আখিরাতে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না? কারন, সে তো বাধ্য হচ্ছে, স্বাভাবিক ভাবে সে তো আর হিন্দু হতো না।

 

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

জান্নাতের যাওয়ার জন্য ঈমান পূর্বশর্ত। সুতরাং কোনো কাফির-মুশরিক বা বিধর্মী জান্নাতে যাবে না। 

মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,

إِنَّ اللّهَ لاَ يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَن يَشَاء وَمَن يُشْرِكْ بِاللّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا

নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল। (সুরা নিসা ৪৮ )

আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেছেন,

إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أُولَئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ

আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম। (সুরা বাইয়্যেনাহ ৬)

হাদিসে এসেছে,

ثُمَّ أَمَرَ بِلَالًا فَنَادَى فِي النَّاسِ ، أَنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ

অতপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বেলাল রাযি.-কে নির্দেশ দিলেন। তাই তিনি লোকদের মাঝে ঘোষণা দিলেন, জান্নাতে কেবল মুসলিম ব্যক্তিই প্রবেশ করবে। (বুখারী ২৮৯৭ মুসলিম ১৬৬)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

 لَا تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا 

তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না।(মুসলিম ৮৪ আবু দাঊদ ৫১৯৩)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত ক্ষেত্র গুলোর কোনো ক্ষেত্রেই মেয়েটি পরকালে জান্নাতে যেতে পারবেনা।

সে চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
বাধ্য হলেও জাহান্নামি হবে কেন? 
by (18 points)
বলেন, বাধ্য করা হলেও জাহান্নামি হবে কেন?
by (565,890 points)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সে জাহান্নামেই যাবে।
by (18 points)
আপনি কি আসলেই গবেষণা করে বলেছেন? আমি মূলত বুঝাতে চেয়েছি, সে মনে মনে মুসলমান কিন্তু বাহিরে অভিনয় করছে; সে ইচ্ছা করে হয়নি। 

আমরা জানি, জোরপূর্বক কুফরি বাক্য উচ্চারণ করালে তা জায়েজ হয়। তাহলে এক্ষেত্রে কেন হবে না?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...