আসসালামু’য়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।
প্রথম অংশঃ
জনৈক এক ব্যাক্তির বাবা মারা গিয়েছেন কয়েক বছর আগে। উনার পিতা মারা যাবার পর মা, এক ভাই এক বোনের খরচ উনিই বহন করেন।
বছরখানেক আগে উনার বোনের একটি ছেলের সাথে অনলাইনে পরিচয় হয় এবং অনলাইনেই তাদের সম্পর্ক হয়ে যায়। ছেলেটি বিদেশে থাকে এবং একটি হোটেলে কাজ করে।
উনার বোন পাপের কথা চিন্তা করে মোবাইলেই বিবাহ করে ফেলে। এই বিবাহের বিষয়টি দুই পরিবারের কেহই অবগত ছিল না।
বিয়ে সম্পন্নের সময় ভিডিও কলে একপ্রান্তে মেয়ে ছিল আর অপর প্রান্তে ছেলে এবং ছেলের বন্ধুরা ছিল। ছেলের বন্ধুদের মধ্য থেকেই মেয়ে পক্ষের উকিল ও সাক্ষী নির্ধারণ করে এবং ইসলামী নিয়মে ইজা কবুল সবাই(সাক্ষীদ্বয়, উকিল, ছেলে, মেয়ে) স্পস্টভাবে ভিডিও কলে শুনতে পায়।
এমতাবস্থায় উনার বোনের বিয়ের প্রস্তাব আসার পর বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করে। এই অবস্থায় উনি এই বিয়ে মেনে নিতে ইচ্ছুক ছিলেন না, কেননা ছেলেটি শিক্ষাগত যোগ্যতা একেবারেই কম, পেশাও ঐ ফ্যামিলির সাথে মানানসই না। কিন্তু তারপরও উনার মায়ের পীড়াপিড়িতে উনি ছেলের পরিবারের সাথে কথা বলতে রাজি হন। এমতাবস্থায় ছেলেটি তার পরিবারের কোন কন্টাক্ট দেয় নি এবং সে জানায় তার পরিবার এ বিয়ে মেনে নেবে না।
ছেলের ইচ্ছে মেয়ের ওয়ারিশের অংশ যা পাবে সেখানে সে চলে আসবে। এ বিষয়টি উক্ত মেয়েটিকে বলে রাজী করিয়ে রেখেছে। এ বিষয়টি উনার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। উনার বোনও কিছুটা সন্দেহের মধ্যে আছে। কিন্তু ভয়ে আছে যেহেতু বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলে তালাক না দিলে অন্যত্র কিভাবে বিয়ে হবে? উল্লেখ্য যে ছেলে বিদেশে থাকায় বিয়ের সাত-আট মাস হলেও এখনও ওদের সরাসরি দেখা সাক্ষাৎ হয় নি এবং ছেলে কবে আসবে সে ব্যাপারেও কিছু জানায় নি। দেশে আসার কথা বললে নানাবিধ সমস্যার কথা বলে। দেশে আসার আগে কোন খরচ বহনের বিষয়েও সে রাজী নয়, যদিও এটা উক্ত মেয়ে মেনে নিয়েছে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছেঃ
১। উক্ত বিয়ে কি বৈধ হয়েছে (হানাফী মাজহাব অনুসারে)?
২। বৈধ হয়ে থাকলে কিভাবে বিচ্ছেদ করা লাগবে এবং অন্য কোথাও বিয়ে দিতে গেলে কি করতে হবে?