আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
১.সাত আট মাস আগে লোকজনের অন্তরে করোনা পরিস্থিতিতে একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছিল।তখন মুসল্লীরা সীমিত পরিসরে মসজিদে কাতারে ফাঁক রেখে নামাজ আদায় করে মসজিদ আবাদ রেখেছেন। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে বর্তমানে আল্লাহ তা'আলা আমাদের ঐ মাত্রাতিরিক্ত  ভীতি অন্তর থেকে দূর করে দিয়েছেন।এখন সকলে সবখানে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করছে।ব্যবসা বাণিজ্য লেন দেন মেলামেশা  স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ।
এরকম পরিস্থিতিতেও কি এখনও মসজিদে জামাতে কাতারে ফাঁক রেখে দাড়ানো জায়েজ হবে কিনা? যেখানে আমরা অন্যান্য কার্যক্রম  সবই স্বাভাবিকভাবেই করছি।

২.নবীজীর (সাঃ) সীরাত থেকে, সাহাবায়ে কেরামের জীবনী থেকে আমরা জানতে পরি যে সাহাবায়ে কেরামরা আত্মরক্ষার সরঞ্জাম ব্যবহার করতেন,সাথেও রাখতেন।যদিও বর্তমানে দেশীয় আইনে আত্মরক্ষার সরঞ্জাম রাখাও নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।কিন্তু কেউ যদি আত্মরক্ষার সরঞ্জাম রাখে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন বিধিনিষেধ আছে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/4589নং জবাবে আমরা ইতিপূর্বে বলেছি যে,
নামায ঘরে না পড়ে মসজিদে পড়াই সওয়াব বেশী।পুরুষদের জন্য মসজিদে মুসলমানদের জামাতের সাথে নামায পড়াই পরিপূর্ণ নামায।এমনকি বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিবও বটে।কেননা আ'মলের মাধ্যমে আ'যানের জবাব দেয়া ওয়াজিব। এ জন্য কোনো পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন না। উনার জন্য জায়েয হবে না। হ্যা প্রয়োজনে ঘরে নামায পড়া যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1267

আজ ১৮ অক্টোবর ২০২০ ইংরেজী তারিখে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতে মসজিদের জামাতকে ত্যাগ করা কি জরুরী? এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, এখনকার পরিস্থিতি আর আগের মত নয়, তাই মসজিদের জামাতেই শরীক হতে হবে। ওয়াজিব বিধান আবার চলে এসেছে। তবে কোথাও স্বাস্থ্যববিধি কে ফলো করা না হলে, এবং সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বর্ধমান থাকলে, সেই জায়গার মসজিদে না যাওয়ার অনুমোদন রয়েছে। সুতরাং আপনি বিশেষ প্রয়োজন বা অসুবিধা না থাকলে মসজিদেই নামায পড়বেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আজ ১ফেব্রুয়ারি ২০২১ইংরেজী। এখন যেহেতু করুনা পরিস্থিতি আর আগের মত নয়, এখন সকলে সবখানে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করছে। ব্যবসা বাণিজ্য লেন-দেন পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ  স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ। এরকম পরিস্থিতিতে এখন আর মসজিদে জামাতে কাতারে ফাঁক রেখে দাড়ানো যাবে না। বরং মাকরুহ হবে। 

(২)
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোনো বিধিনিষেধ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...