আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার হায়েজ আগের বার শেষ হইছিলো ১০ দিনে।আমি ১০ দিন ধরেছিলাম কারণ সর্দি পাকা রঙের মতো হলুদ রঙের ছিলো।এরপর ১১,১২ তম দিনেও এরকম দু একদিন আরো ছিলো এমন।
এরপর কয়েকদিন হায়েজ থেকে ভালো হওয়ার ১৪,১৫ দিন থেকে সাদা পাতলা পানিজাতীয় স্রাব ছিলো এরপর অফ ছিলো। এরপর তেমন স্রাব দেখা যেতো না তবে দেখা গেলে অফ হোয়াইট রঙের স্রাব দেখা যেতো একদম সাদা লাগেনি ওগুলো নতুন ভাবে হায়েজ শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগে। এরপর হচ্ছে নতুন হায়েজ শুরু হইছে এখন চলমান আজ ৮ দিন ৬ এপ্রিল। এখন আপু আমি হায়েজ কোনদিন ভালো হয়েছে ধরবো?কারণ আমার ৬,৭ দিনে রক্ত বা লাল,কালো রঙ এগুলো প্রায় কমে যায় এবং তেমন কিচ্ছু আর দেখা যায় না কিন্তু ১০ দিন পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করি কারণ ১০ দিনের ভেতরে সেই হলদে স্রাব দেখা যায় পাকা সর্দির রঙের মতো হলদে।তারপর ১০ দিন শেষ হয়ে ১১তম দিন থেকে নামাজ পড়ি তখনও সেই হলদে রঙা স্রাব ছিলো।
মার্চের ১ তারিখ যখন হায়েজ হয় তখন ছিলো এমন ১২,১৩ দিনের সময়ও এমন হলদে রঙা স্রাব দেখা যেতো।
কিন্তু মার্চের আগের হায়েজের সময়ে সঠিক মনে নেই যতটুকু আছে স্রাব এরকম ই প্রায় থাকতো হলদে বা একটু হলদে লাগতো আমার কাছে।তবে এখন এপ্রিলের আগের বারের হায়েজ অর্থাৎ মার্চের হায়েজ সম্পর্কে মনে আছে।
আমি বুঝতে পারছিনা আমি কখন থেকে নামাজ পড়া শুরু করবো,রোজা রাখা শুরু করবো?রক্ত অফ হয়ে গেলে নাকি হলদে রঙ যতদিন আছে ততদিন মানে ১০ দিন?নাকি ইস্তিহাজার রোগী ভাববো?

আর আমি যদি ১০ দিন ধরে হায়েজ থেকে পবিত্র হই তাহলে এভাবে আমার রোজা ১১ টা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
কারণ আমি শিউর না তবে ইফতারের আগে আধ ঘন্টা আগে এক শুক্রবারে আমার হায়েজ যদি হয় তাহলে আমি যদি এক সপ্তাহ পর আরেক সোমবার বিকেলে গোসল করি ১১ দিনের দিন তাহলে এভাবে তো আমার রোজা ১১ টা ভাঙতে হবে।আমি কী সোমবারে রোজা রাখবো নামাজ না পড়েই?আর তারপর গোসল করবো ইফতারের পর?আর নামাজ শুরু করবো এশা থেকে কারণ আমি যখন মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য যাই তখন দেখেছি হায়েজ শুরু হইছে তাহলে আমি নামাজ কখন শুরু করবো?এশা থেকে?
এবার এপ্রিলের হায়েজের আজ ৮ দিন শেষ কিন্তু এখনো আমার স্রাবের রঙ হলদে কিন্তু মলিন।যতটা মনে হপচ্ছে আগের বারের স্রাবে এই মলিনতা ৮ দিনের দিন হয়তো ছিলোনা আরেকটু স্বচ্ছ হলুদ ছিলো কিন্তু এবার মলিন হলদে।
বুঝতে পারছিনা কীভাবে রোজা রাখবো আর কখনই বা নামাজ আদায় করতে পারবো?

এখন আমার হায়েজ চলমান মানে
৬ এপ্রিল ৯ দিন শুরু হইছে সন্ধ্যার সময় থেকে।আজ বিকেলের দিকে অর্থাৎ ৬ এপ্রিল দিনের বেলা হলদে মলিন রঙের মতো দেখেছি।মার্চ মাসের ২৯ তারিখ হায়েজ শুরু হইছে ইফতারের পরে দেখেছি। কিন্তু ইফতার করার আগ মুহুর্তে শুরু হইছে কিনা আমি ঠিক বলতে পারছিনা।যদি আমি মার্চের ২৯ থেকে ধরি তাহলে রোজা ১১ টা ভেঙে যাবে ১০ দিন হায়জের হিসেব ধরলে।কি করবো?

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم، أَنَّ امْرَأَةً كَانَتْ تُهَرَاقُ الدِّمَاءَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم، فَاسْتَفْتَتْ لَهَا أُمُّ سَلَمَةَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ:لِتَنْظُرْ عِدَّةَ اللَّيَالِي وَالْأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُهُنَّ مِنَ الشَّهْرِ قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهَا الَّذِي أَصَابَهَا، فَلْتَتْرُكِ الصَّلَاةَ قَدْرَ ذَلِكَ مِنَ الشَّهْرِ، فَإِذَا خَلَّفَتْ ذَلِكَ فَلْتَغْتَسِلْ، ثُمَّ لِتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ، ثُمَّ لِتُصَلِّ فِيهِ

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক মহিলার (হায়িয-নিফাসের নির্দ্দিষ্ট সময় অতিক্রমের পরও) রক্তস্রাব হতো। উম্মু সালামাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ঐ মহিলার জন্য কি বিধান তা জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে যেন ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হবার আগে মাসের যে ক’দিন তার হায়িয হত তা খেয়াল করে গুনে রাখে এবং প্রতিমাসে সেই ক’দিন সে সলাত ছেড়ে দেয়। ঐ ক’দিন অতিবাহিত হয়ে গেলে সে যেন গোসল করে নেয়, অতঃপর (লজ্জাস্থানে) পট্টি বেঁধে সলাত আদায় করে।
(নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ হায়িয শেষে গোসল করা, হাঃ ২০৮), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ ঋতুবতী নারীর হায়িযের সময়সীমা পূর্ণ হওয়ার পর রক্ত নির্গত হওয়া প্রসঙ্গে, হাঃ ৬২৩), আবু দাউদ ২৭৪. আহমাদ (৬/২৯৩, ৩২০, ৩২২), মালিক (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা)

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ أَنَّهَا أَمَرَتْ أَسْمَاءَ - أَوْ أَسْمَاءُ حَدَّثَتْنِي أَنَّهَا أَمَرَتْهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ - أَنْ تَسْأَلَ، رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَقْعُدَ الأَيَّامَ الَّتِي كَانَتْ تَقْعُدُ ثُمَّ تَغْتَسِلُ - صحيح 

উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আসমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অথবা আসমা-ই আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করার জন্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেন যে, (পূর্বের হিসেব মতো) হায়িযের দিনগুলোতে অপেক্ষা করবে, তারপর নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে গোসল করবে।
(আবু দাউদ ২৮১ নাসায়ী ২০১)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার এখন যে ব্লিডিং চলছে,এটা
দশদিনের আগেই বন্ধ হলে পুরোটাই হায়েজ বলে গন্য হবে।
এ সময়ে নামাজ রোযা আদায় করা যাবেনা।
রোযা গুলি পরবর্তীতে কাজা আদায় করে নিতে হবে।
দশদিন পরেও যদি এমন কিছু আসে,তাহলে পূর্বের মাস গুলোর অভ্যাস এর দিনের পর দিন থেকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরা হবে। 
তখন নামাজ ও রোযা আদায় করতে হবে।
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
পূর্বের মাসের অভ্যাস বলতে এক বছর আগে আমি এগুলো সম্পর্কে তেমন জানতাম না তখন ৮ দিনে গোসল করে নামাজ পড়তাম,যখন স্রাব সাদা হয়ে যেতো,মাঝে মধ্যে আগে কয়দিনের ভেতর মনে নেই লাল চিহ্ন দেখতাম তাই নামাজ পড়তাম না।আগে টিসু দিয়ে দেখিনি হাতে দেখেছি সাদাই।
কিন্তু ২০২৩ সালে ইনফেকশন হয় আর ডাক্তারও বলেছেন এরকম স্রাব নরমাল।কিন্তু ইনফেকশন ছিলো।
তারপর আমার হায়েজ শেষ হলেও সবসময় ই প্রায় হালকা হলদে স্রাব থাকতো।
আমি ১০ দিন হায়েজ ধরে নামাজ পড়তাম ১১ দিনের দিন। অনেকবার ই এভাবে করে আসছি ১০ দিন ধরে। কারণ ১০ দিনের ভেতর স্রাব একদম সাদা মনে হতো না।আবার ১০ দিনের পরেও স্রাব সাদা দেখা যেতো না।
কিন্তু এইবার এই মাসের আগের মাসে স্রাব ১০ দিনের পর আরো ২ কি ৩ দিন ছিলো হলদে হালকা কিন্তু এরপর সাদা দেখা গিয়েছিলো। 
এরপর আবার হয়তো হালকা হলদে ছিলো।
এখন আমি কি করবো এখনো বুঝিনি।
ব্লিডিং ৬,৭ দিনেই অফ হয়ে যায়,তারপর কালচে হয়।সমস্যা শুধু লাস্ট ৮,৯ দিনের সময়েই কারণ তখন থেকে স্রাব হলদে হালকা হয় এরপর ১০ দিনের পরও এই স্রাব থাকে।রোজা অলরেডি ১০ টা আমি খেয়ে ফেলছি রাখিনি।কিন্তু হায়েজের ১০ দিন শুরু হয় সন্ধ্যা থেকে।এখন কাল এম্নিতেই সন্ধ্যার পর ১১ দিন শুরু হয়ে যাবে কিন্তু রোজা এতে ১১ টা ভেঙে যাবে?আমি কি ফরজ গোসল করে কাল রোজা রাখবো আর নামাজ পড়বো না?নাকি এখন থেকেই নামাজ পড়ে রোজা কাল রাখবো?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...