জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এটা আপনার জন্য কল্যাণকর হচ্ছে।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আনাস রাযি,থেকে বর্ণিত
(مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ، كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ ، وَعُمْرَةٍ ، تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামায পড়বে,অতঃপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত থাকবে,তারপর দু'রাকাত নামায পড়বে,তাহলে সে একটি হজ্ব ও একটি উমরার সওয়াব পাবে।এরপর তিনি তাকিদ করে বলেন,হ্যা পূর্ণ হজ্ব ও উমরার সওয়াব সে পাবে।(সুনানু তিরমিযি-৫৮৬)
( أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا صَلَّى الْفَجْرَ جَلَسَ فِي مُصَلَّاهُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَسَنًا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ ফযরের নামাযের পর পরিপূর্ণ সূর্যোদয়ের পর্যন্ত মুসল্লায় বসে থাকতেন।(সহীহ মুসলিম-৬৭০)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হাদীসের ভাষ্যমতে উক্ত ফযিলত ঐ ব্যক্তির সাথেই খাস মনে হচ্ছে, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাতের সাথে পরে মসজিদে বসে থেকে সূর্যোদয়ের পর ইশরাকের নামায পড়বে।
সাধারণ নিয়ম হল,কথা না বলে ইশরাক পড়া।
তবে যদি কোথাও মনের অজান্তে দ্বীনি কথাবার্তা শুরু হয়ে যায়,
তাহলে আশা রাখা যায় যে, সে ব্যক্তি হাদীসে বর্ণিত সওয়াব পাবে।
তবে নিয়মিত এমনটা করা যাবে না, আর করলে সে সওয়াব পাবে না ।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি মসজিদ ত্যাগ না করা হয়,দুনিয়াবী কথাবার্তা না বলা হয়,তাহলে আশা রাখা যায় যে, সে ব্যক্তি হাদীসে বর্ণিত সওয়াব পাওয়া যাবে।
তবে নিয়মিত এমনটা করা যাবে না।
(০৩)
যাওয়ালের নামাজ সংক্রান্ত জানুনঃ-
(০৪)
মাগরিবের পর নফল সালাত আদায় করলে আওয়াবীনের সালাত আদায় করছি বলে নিয়ত করা যাবে।
হাদীসে উক্ত নামাজের নাম নেই,তবে উক্ত নামাজের কথা হাদীসে আছে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৫)
ওযুর পর ফরয সালাত পড়লে তাহিয়াতুল অযু আদায় হয়ে যাবেনা।
তবে অযুর পর সুন্নাত আদায় করলে তাতে তাহিয়্যাতুল অযুর নিয়ত করলে তাহিয়্যাতুল অযু আদায় হবে।
(০৬)
হ্যাঁ এভাবে পড়া যাবে।