আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
193 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তাদ।
আমার তুলনামূলক সালাতে বেশি সময় লাগে। আমি দীর্ঘ সূরাহ পাঠ করিনা। দ্বুহা থেকে নাস অবদিই পাঠ করি। আর রুকুর পর উঠে দাঁড়ানোর, সিজদার মাঝখানের দুআ সম্পুর্ন পড়ি। যতটুকু পারি তাজবিদ ঠিক রেখে পড়ার চেষ্টা করি। আশেপাশের বাকিদের তুলনায় আমার সালাতে বেশি সময় লাগে। দুআ গুলো নাও পড়ি তবু তুলনামূলক বেশি সময় লাগে। এতে বাকিরা আমার তুলনায় অধিক রাকাত পাঠ করতে পারেন। অধিক যিকির করতে পারেন। কিন্তু আমি সুন্দরভাবে সালাত আদায় করলে সময় লেগে যায় বিধায় রাকাত সংখ্যা বাড়াতে পারিনা, যিকিরেও বেশি সময় লাগে।  এজন্য ১০০ বার করে পড়তে গেলেও বাদ পড়ে যায়। এখন
১. এটা কি আমার জন্য কল্যাণকর নাকি এতে কম আমল হচ্ছে? আমি কি সালাত, যিকির আরো দ্রুত পাঠ করার চেষ্টা করব?

২. ফযরের সালাত আদায়ের পর ইশরাকের সালাত পড়ার জন্য বসে থাকার মধ্যে যদি ঝিমানি আসার কারণে উঠে হাটাহাটি করি, যিকিরের মাঝখানে কথাবার্তা বলি, অন্য স্থানে বসে আমল করে দেন সময় হলে সালাত পড়ি, তখন কি নফল হজ্জের সওয়াব পাওয়া যাবেনা?
৩. যাওয়ালের সালাত কি শরীয়তসম্মত আলাদা কোনো সালাত? ৪ রাকাত ই পড়তে হবে না ২ রাকাত ও পড়তে পারব?

৪. মাগরিবের পর নফল সালাত আদায় করলে কি আওয়াবীনের সালাত আদায় করছি বলে নিয়ত করা যাবে? এই সালাতের নাম নাকি হাদিসে আসেনি। তাহলে কি শুধুই নফলের নিয়ত করব?
৫. ওযুর পর ফরয সালাত পড়লে তো তাহিয়াতুল অযু আদায় হয়ে যাবে। যদি সুন্নাত সালাত পড়ি তবেও কি সওয়াব পাওয়া যাবে না এক্সট্রা করে পড়তে হবে?
৬. সালাতে একই  বড় সূরার বিভিন্ন অংশ একেক রাকাতে পড়া যাবে? যেমন প্রথম রাকাতে আয়াতুল কুরসি, ২ য় রাকাতে বাকারার শেষ ৩ আয়াত এভাবে পড়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এটা আপনার জন্য কল্যাণকর হচ্ছে।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

হযরত আনাস রাযি,থেকে বর্ণিত

(مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ، كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ ، وَعُمْرَةٍ ، تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামায পড়বে,অতঃপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত থাকবে,তারপর দু'রাকাত নামায পড়বে,তাহলে সে একটি হজ্ব ও একটি উমরার সওয়াব পাবে।এরপর তিনি তাকিদ করে বলেন,হ্যা পূর্ণ হজ্ব ও উমরার সওয়াব সে পাবে।(সুনানু তিরমিযি-৫৮৬)

( أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا صَلَّى الْفَجْرَ جَلَسَ فِي مُصَلَّاهُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَسَنًا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ ফযরের নামাযের পর পরিপূর্ণ সূর্যোদয়ের পর্যন্ত মুসল্লায় বসে থাকতেন।(সহীহ মুসলিম-৬৭০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
https://ifatwa.info/14912/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীসের ভাষ্যমতে উক্ত ফযিলত ঐ ব্যক্তির সাথেই খাস মনে হচ্ছে, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাতের সাথে পরে মসজিদে বসে থেকে সূর্যোদয়ের পর ইশরাকের নামায পড়বে।

সাধারণ নিয়ম হল,কথা না বলে ইশরাক পড়া।
তবে যদি কোথাও মনের অজান্তে দ্বীনি কথাবার্তা শুরু হয়ে যায়,
তাহলে আশা রাখা যায় যে, সে ব্যক্তি হাদীসে বর্ণিত সওয়াব পাবে।

তবে নিয়মিত এমনটা করা যাবে না, আর করলে সে সওয়াব পাবে না ।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি মসজিদ ত্যাগ না করা হয়,দুনিয়াবী কথাবার্তা না বলা হয়,তাহলে আশা রাখা যায় যে, সে ব্যক্তি হাদীসে বর্ণিত সওয়াব পাওয়া যাবে।

তবে নিয়মিত এমনটা করা যাবে না।

(০৩)
যাওয়ালের নামাজ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৪)
মাগরিবের পর নফল সালাত আদায় করলে আওয়াবীনের সালাত আদায় করছি বলে নিয়ত করা যাবে।

হাদীসে উক্ত নামাজের নাম নেই,তবে উক্ত নামাজের কথা হাদীসে আছে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৫)
ওযুর পর ফরয সালাত পড়লে তাহিয়াতুল অযু আদায় হয়ে যাবেনা।

তবে অযুর পর সুন্নাত আদায় করলে তাতে তাহিয়্যাতুল অযুর নিয়ত করলে তাহিয়্যাতুল অযু আদায় হবে।

(০৬)
হ্যাঁ এভাবে পড়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...