وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
যদি এগুলো লজ্জাস্থানের অভ্যন্তরেই থেকে যায়,বাহিরে না আসে,সেক্ষেত্রে কোনোক্রমেই হায়েজ বলে গন্য হবেনা।
আর যদি এগুলো লজ্জাস্থানের বাহিরে আসে,সেক্ষেত্রে পূর্বের মাসের হায়েজ বন্ধ হওয়ার পরদিন থেকে ১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর এই ব্লিডিং হয়ে থাকলে আপনি দুই এপ্রিল থেকে হায়েজ গণনা করবেন।
(০২)
এক নং প্রশ্নের জবাব দ্রষ্টব্য।
(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَلِيٌّ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْهَرٍ - عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ إِذَا طَهُرَتْ قَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَطْهُرُ فَيَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ يَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ .
আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... মুআযা আদাবীয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক মহিলা আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করল যে, ঋতুবতী মহিলা যখন ঋতু থেকে পবিত্র হবে তখন কি সে সালাত কাযা করবে? তিনি বললেন, তুমি কি হারুরী গোত্রের মহিলা? আমরা তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ঋতুবতী হতাম এবং যখন পবিত্র হতাম তখন আমাদেরকে সাওম কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হল কিন্তু সালাত কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না।
(নাসায়ী শরীফ ২৩২০।)
শরীয়তের বিধান হলোঃ
রমজান মাসে মহিলাদের পিরিয়ডের রোজা না রাখলে অথবা রোজা রাখার পর পিরিয়ড শুরু হলে তার জন্য পানাহার করা বৈধ। তবে অন্য লোকদের সামনে পানাহার করা উচিত নয়। দিনের বেলায় যদি ঋতু বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে, তাহলে দিনের বাকি অংশে রোজাদারের মতো পানাহার ও যৌনাচার বর্জন করা ওয়াজিব। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৪২০)
وہل یکرہ لہا التشبہ بالصوم أم لا؟ مال بعض المحققین إلی الأول؛ لأن الصوم لہا حرام فالتشبہ بہ مثلہ. واعترض بأنہ یستحب لہا الوضوء والقعود فی مصلاہا وہو تشبہ بالصلاة. اہ تأمل (الدر المختار وحاشیة ابن عابدین (رد المحتار) 1/ 485،ط: زکریا،دیوبند)
হায়েজার মহিলার জন্য রোযাদারদের সাথে সাদৃশ্য রাখাকে মুহাক্কীকিনে কেরামগন মাকরুহ বলেছেন।
কেননা তাদের জন্য রোযা হারাম,তাই রোযাদারদের সাথে সাদৃশ্যও জায়েজ নেই।
یجب علی الصحیح وقیل یستحب "الإمساک بقیة الیوم علی من فسد صومہ" ولو بعذر ثم زال "وعلی حائض ونفساء طہرتا بعد طلوع الفجر".... "وعلی حائض ونفساء طہرتا" وأما فی حالة تحقق الحیض والنفاس فیحرم الإمساک لأن الصوم منہما حرام والتشبہ بالحرام حرام (حاشیة الطحطاوی علی مراقی الفلاح شرح نور الإیضاح ص: 678،ط: اشرفی، دیوبند)
সারমর্মঃ
রমজান মাসে ওযর বশত (যেমন হায়েজ) রোযা ভেঙ্গে গেলে বাকি দিন পানাহার থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব,কেউ কেউ মুস্তাহাব বলেছেন।
আর যদি আগে থেকেই হায়েজ নেফাস চলে,তাহলে পানাহার থেকে বিরত থাকা হারাম।
কেননা তাদের জন্য রোযা হারাম,তাই রোযাদারদের সাথে সাদৃশ্যও হারাম।
خلاصۃ الفتاوی
"وأجمعوا علی أنه لایجب التشبه علی الحائض والنفساء". (1/263ط: رشیدیه)
সারমর্মঃ
সকলেই একমত যে হায়েজ নেফাস গ্রস্থ মহিলার জন্য রোযাদারদের সাথে সাদৃশ্য রেখে পানাহার থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব নয়।
البحرالرائق :
"ومن لم یکن علی تلك الصفة لم یجب الإمساك کما في حالة الحیض والنفاس، ثم قیل: الحائض تأکل سرًّا لاجهرًا. وقیل: تأکل سرًّا وجهرًا". (2/289 ط: سعید)
সারমর্মঃ
হায়েজাহ মহিলারা গোপনে খানা খাবে,তাদের উপর পানাহার থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব নয়।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
রমদান মাসে হায়েজ আসলে বাকি দিন পানাহার থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব,কেউ কেউ ওয়াজিব বলেছেন।
তবে হায়েজের অন্যান্য দিন বা আগে থেকেই হায়েজ চললে পানাহার থেকে বিরত থাকা জায়েজ নেই।
অনেকেই এটিকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তাই এমতাবস্থায় রোযাদার থেকে অপ্রকাশ্যে পানাহার চালিয়ে যেতে হবে।
রোযা অবস্থায় হায়েজ চলে আসলে অপ্রকাশ্যে পানাহার করলে গুনাহ হবেনা।