ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭.৫ ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.৫ ভড়ি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে, অন্যথায় যাকাত আসবে না। তবে হ্যাঁ, যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা অথবা টাকা এভাবে থাকে যে, কোনোটিরই নেসাব পূর্ণ হয়নি, তাহলে এক্ষেত্রে রূপার নেসাবকেই মানদন্ড ধরে নেয়া হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/121
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ব্যবসায়ীক পণ্যে যাকাত আসবে যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়, এবং উক্ত নেসাব পরিমাণ মাল এক বৎসর যাবৎ আপনার নিকট থাকে।
(২) ব্যবসায়ীক পণ্যে যাকাত আসলে তথা উক্ত মাল নেসাব পরিমাণ হলে,সেই মাল সমূহের বিক্রয়মূল্যর ২.৫% যাকাত দিতে হবে।
(৩) আপনার যদি কারো কাছে ঋণ থাকে, তাহলে ঋণ যখন আপনি পাবেন, তখনই আপনি যাকাত দিবেন যদি আপনার নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে।
(৪) আপনার নিকট নগদ যত টাকা রয়েছে বা যত টাকার ব্যবসায়িক পণ্য রয়েছে, সেখান থেকে ঋণ বাদ দিয়ে যদি নেসাব পরিমাণ মাল আপনার নিকট বাকী থাকে,তাহলে যাকাত ফরয হবে নতুবা ফরয হবে না।
(৫) আতর রাখার জন্য যে জার ইউজ করা হয়, সেই জার যাকাতের হিসাবে আসবে না।
(৬) রমাদানের পরও যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে।
(৭) আপনি যে দিন থেকে নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হয়েছেন, সেদিন থেকে একবৎসর পর আপনাকে যাকাত আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি অনুমানের উপর ভিত্তি করে ধরে নিবেন।
(৮) টিউশনির টাকা যদি আপনার নিকট উপস্থিত থাকে, এবং সব মিলিয়ে নেসাব পরিমাণ সম্পদ আপনার নিকট থাকে, তাহলেই যাকাত দিতে হবে।
(৯) ২ মাস আগে যে ২০,০০০ টাকার মাল কিনেছেন, সেটার হিসাব যাকাতের আসবে।
(১০) যত প্রকার মাল আপনার নিকট থাকবে, সকল প্রকার মালের বিক্রয় মূল্যর ২.৫% এবং নগদ টাকার ২.৫% যাকাত আপনাকে দিতে হবে।