আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম
মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন :

১. সূরাহ আয-যারিয়াত এর ৫৮ নং আয়াত কি নামাযের সিজদাতে দুয়া হিসেবে পড়া যাবে?

২. কুরআন এর আয়াত অথবা কোনো দুয়া যদি বাংলা অনুবাদ না বাংলায় আরবী আয়াত বা দুয়াটি  অনেক সময় খাতায় লিখা হয় যেখানে ভুল হয় কারণ আরবীর শুদ্ধ উচ্চারণ বাংলায় হয় না। এমন ভুল লিখা কাগজ গুলো কি করব?
৩. 'ইয়া রাজ্জাকু যুল কুওয়াতিল মাতিন' আমার হুজুর আমাকে এই লাইনটি পড়ে আমল করতে বলল কিন্তু আমি আরেকটি ওয়েব সাইটে খুজার পর দেখলাম সূরাহ আয-যারিয়াত এর ৫৮ নং আয়াত উল্লেখ করা। উপরের লাইনটি কি ভুল? এভাবে লিখার কারনে কি আমার গুনাহ হয়েছে৷? যদি ভুল হয় কাগজ টি কি ছিড়ে ফেলা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (713,640 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পরকালিন দু'আ না দুনিয়াবি দু'আ এ সম্পর্কে আরো স্পষ্ট করে ফাতাওয়ায়ে ক্বাযিখানে উল্লেখ করা হয় যে, 
فالحاصل انه دعا في الصلوة بما جاء في الصلوة أو في القرآن أو في الماثور لا تفسد صلاته ،وإن لم يكن في القرآن ولا في الماثور ولايستحيل سواله من العباد تفسد صلاته ،وإن كان يستحيل سواله من العباد لاتفسد صلاته ،
قاضي خان ،اولين ص;٦٨
حافظ كتب خانه،كوئته
মোটকথাঃ যদি কেউ নামাযে ঐ সমস্ত দু'আ দ্বারা দু'আ করে যা নবীজী সাঃ থেকে নামাযে বর্ণিত,বা কোরআনে কারীমে এসেছে,অথবা হাদীসের কোনো কিতাবে এসেছে,তাহলে উক্ত দু'আ করা বৈধ রয়েছে এবং এমন দু'আর কারণে তার নামায ফাসেদ হবে না। কিন্তু যদি উক্ত দু'আ কোরআন বা হাদীসের কোথাও না আসে।এমতাবস্তায় যদি সে এমন (বাক্যসমূহ দ্বারা) দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া যায়,অসম্ভব নয়, তথা বন্দা সেই হাজত পূর্ণ করার সামর্থ্য রাখে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ করা যাবে না।করলে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি এমন বাক্যাবলী দ্বারা দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া অসম্ভব(যেমন হে আল্লাহ আমার নাতীর হায়াত বাড়িয়ে দাও ইত্যাদি)অর্থীৎ যা বন্দার সামর্থ্যর বাইরে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ (কোরআন হাদীসে বর্ণিত না থাকা সত্বেও) করা যাবে।নামায ফাসিদ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে ক্বাযিখান-প্রথম ৬৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/185

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সূরাহ আয-যারিয়াত এর ৫৮ নং আয়াত
إِنَّ اللَّهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ
আল্লাহ তা’আলাই তো জীবিকাদাতা শক্তির আধার, পরাক্রান্ত।
এই আয়াত কে নামাযের সিজদাতে দুয়া হিসেবে পড়া যাবে।

(২) কুরআন এর আরবীর উচ্চারণ বাংলায় ভূল লিখা থাকলে, সেই কাগজকে নদীতে বা গভীর পানিতে ফেলে দিবেন।

(৩) 'ইয়া রাজ্জাকু যুল কুওয়াতিল মাতিন' 
এই বাক্য যিনি বলে দিছেন, সেটা কুরআনের আয়াত হিসেবে দেননাই বরং আরবী দু'আ হিসেবে দিছেন।এটাকে নামাযে না পড়াই উত্তম।তবে পড়ে নিলে নামায ফাসিদ হবে না।কেননা এটার অর্থের সাথে কুরানের আয়াতের মিল রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...