ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পরকালিন দু'আ না দুনিয়াবি দু'আ এ সম্পর্কে আরো স্পষ্ট করে ফাতাওয়ায়ে ক্বাযিখানে উল্লেখ করা হয় যে,
فالحاصل انه دعا في الصلوة بما جاء في الصلوة أو في القرآن أو في الماثور لا تفسد صلاته ،وإن لم يكن في القرآن ولا في الماثور ولايستحيل سواله من العباد تفسد صلاته ،وإن كان يستحيل سواله من العباد لاتفسد صلاته ،
قاضي خان ،اولين ص;٦٨
حافظ كتب خانه،كوئته
মোটকথাঃ যদি কেউ নামাযে ঐ সমস্ত দু'আ দ্বারা দু'আ করে যা নবীজী সাঃ থেকে নামাযে বর্ণিত,বা কোরআনে কারীমে এসেছে,অথবা হাদীসের কোনো কিতাবে এসেছে,তাহলে উক্ত দু'আ করা বৈধ রয়েছে এবং এমন দু'আর কারণে তার নামায ফাসেদ হবে না। কিন্তু যদি উক্ত দু'আ কোরআন বা হাদীসের কোথাও না আসে।এমতাবস্তায় যদি সে এমন (বাক্যসমূহ দ্বারা) দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া যায়,অসম্ভব নয়, তথা বন্দা সেই হাজত পূর্ণ করার সামর্থ্য রাখে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ করা যাবে না।করলে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি এমন বাক্যাবলী দ্বারা দু'আ করে যা বান্দার কাছে চাওয়া অসম্ভব(যেমন হে আল্লাহ আমার নাতীর হায়াত বাড়িয়ে দাও ইত্যাদি)অর্থীৎ যা বন্দার সামর্থ্যর বাইরে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত দু'আ (কোরআন হাদীসে বর্ণিত না থাকা সত্বেও) করা যাবে।নামায ফাসিদ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে ক্বাযিখান-প্রথম ৬৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/185
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সূরাহ আয-যারিয়াত এর ৫৮ নং আয়াত
إِنَّ اللَّهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ
আল্লাহ তা’আলাই তো জীবিকাদাতা শক্তির আধার, পরাক্রান্ত।
এই আয়াত কে নামাযের সিজদাতে দুয়া হিসেবে পড়া যাবে।
(২) কুরআন এর আরবীর উচ্চারণ বাংলায় ভূল লিখা থাকলে, সেই কাগজকে নদীতে বা গভীর পানিতে ফেলে দিবেন।
(৩) 'ইয়া রাজ্জাকু যুল কুওয়াতিল মাতিন'
এই বাক্য যিনি বলে দিছেন, সেটা কুরআনের আয়াত হিসেবে দেননাই বরং আরবী দু'আ হিসেবে দিছেন।এটাকে নামাযে না পড়াই উত্তম।তবে পড়ে নিলে নামায ফাসিদ হবে না।কেননা এটার অর্থের সাথে কুরানের আয়াতের মিল রয়েছে।