ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ইতিকাফ অবস্থায় গীবত করলে বা শ্রবণ করলে, এদ্বারা ইতিকাফ যদিও ফাসিদ হবে না, তবে পূরিপূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না।
(২) ইতিকাফস্থলে ছোট বাচ্চার  সাথে মজা করতে গিয়ে মজার ছলে মিথ্যা বলা হয়ে গেছে,  এতেকরে  ইতিকাফ  ফাসিদ হবে না।
(৩) ইতিকাফকারী ব্যক্ত ওজু করার জন্য বাথরুমে গেছেন, বাথরুমে কেউ ছিল তখন চলে এসেছেন। একটুপর আবার ওজু করতে গেছেন। এটার কারণে  ইতিকাফ ফাসিদ হবে না 
(৪) ওজু ও ইস্তেঞ্জা করতে দেরি হলে এতেকরে ইতিকাফ ফাসিদ হবে না।
(৫)  বাড়িতে কেউ না থাকায় বাচ্চা পায়খানা করলে তাকে পরিষ্কার করার জন্য ইতিকাফস্থল থেকে বের হওয়া যাবে না। ইতিকাফস্থল থেকে বের  হয়ে বাচ্চাকে পরিষ্কার করলে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। তাই ইতিকাফে বসার পূর্বে বন্দোবস্ত করেই ইতিকাফে বসতে হবে।
(৬) ভুলে ইতিকাফস্থল থেকে বের হয়ে ফ্যান অফ করতে অন্যরুমে চলে গেলে, ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। সুন্নত ইতিকাফ ফাসিদ হলে পরবর্তীতে রোযা সহ একদিনের ইতিকাফ ওয়াজিব হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 
https://www.ifatwa.info/1322