আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম
এক বোনের পূর্বে pcos ছিল, তাই অনিয়মিত হায়েজ ছিল। ২ বছর পূর্বে তা ঠিক হয়ে যায় অর্থাৎ অনিয়মিত হায়েজ নিয়মিত হয়ে যায়।

গত মার্চের ৩-৯ তারিখে স্বাভাবিকভাবেই হায়েজ ছিল। এর ১৫ দিনের বিরতি ছাড়াই আবার ৬-৭ দিন রক্ত দেখা যায় (মার্চের ১৬-২২ তারিখ পর্যন্ত)।  এটাকে উক্ত বোন ইস্তিহাযা হিসেবে গন্য করে নামাজ, রোজা অফ রাখে।
এরপর আবার আজ এপ্রিলের ১ তারিখে আবার রক্ত দেখা দেয়। এখন প্রশ্ন হলো ১. এটাকে কি উক্ত বোন হায়েজ হিসেবে গন্য করবে? এবং ২. পূর্বের যেটা ইস্তিহাযা হিসেবে গন্য করেছিল, সেটা কি ঠিক আছে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই ব্লিডিং যদি সর্বনিম্ন তিন দিন তিন রাত ধরে আসে,তাহলে এটি হায়েজ। 
নামাজ রোযা বন্ধ রাখতে হবে।

তিন দিনের আগেই বন্ধ হয়ে গেলে অথবা স্পষ্ট সাদা স্রাব আসলে, ১০ দিনের মধ্যে আর রক্ত না আসলে এটি ইস্তেহাজা। 
,
এক্ষেত্রে আপাতত এটিকে হায়েজ ধরে নিয়ে নামাজ রোযা বন্ধ রাখতে হবে।

★এটি যদি তিন দিনের আগেই বন্ধ হয়ে যায়,১০ দিনের মধ্যে যদি আর রক্ত না আসে, অথবা স্পষ্ট সাদা স্রাব আসে,সেক্ষেত্রে যে কয়দিন নামাজ বন্ধ রেখেছিলেন,এ কয়দিনের নামাজের কাজা আদায় করে নিতে হবে।

আর যদি এটি তিন দিনের মধ্যে বন্ধ না হয়,অথবা বন্ধ হলেও ১০ দিনের মধ্যে আবারো রক্ত আসে,তাহলে এটি হায়েজ।

এই দিন গুলোর নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা। শুধু রোযার কাজা আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
উস্তাদ, তাহলে পূর্বে যেটা ইস্তিহাযা হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছিল, সেটাও কি হায়েজ হিসেবে গন্য হবে? ব্লিডিং ৬-৭দিন ছিল তবে পবিত্রতার সময়সীমা মাত্র ৭ দিন ছিল।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 174 views
...