আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।

প্রতি বছর রোজার সময় আমার এই সমস্যা টা হয়।
১। ২ দিন আগে গোসল করার সময় মনে হল যে মুখে পানি গেছে, এখন আমার যতটুকু মনে পড়ে গলার ভিতরে পানি যায় নি, এখন এইটা নিয়ে টেনশনে আসলে গেছি কিনা, এখন আমার রোজা কি হবে?
২।  আজকে অজু করার সময় নাকে পানি দেওয়ার সময় মনে হলো পানি মনে হয় ভিতরে গেছে, কিন্তুু আমি সঠিক বুঝতে পারতাছি না আসলে কি পানি গেছে নাকি যায় নি, এইটা নিয়ে খুব টেনশনে আছি , এখন আমার রোজা কি হবে??
৩। আজকে সেহরি করার একদম শেষ সময় মানে সেহরি খাওয়ার সময় মাএ শেষ হলো এই সময় ঢেকুর আসছিলো  গলা পযন্ত একটু খাবার উঠছিলো আমি সাথে গিলে ফেলেছি কারণ মাএ খাবার থেকে উঠলাম, এখন এর কারনে রোজার কোন সমস্যা হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

রোযা রাখা অবস্থায় অযু গোসলের ক্ষেত্রে গড়গড়িয়ে কুলি করা যাবেনা।
নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌছানো যাবেনা। 

লাকিত ইবনে সাবিরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
بالغ في الاستنشاق، إلا أن تكون صائما.

 ‘(অযু-গোসলের সময়) ভালোভাবে নাকে পানি দাও তবে রোযা অবস্থায় নয়।’-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৩৬৩ সুনানে তিরমিযী, হাদীস : ৭৮৫

সুফিয়ান সাওরী রাহ. বলেন, ‘রোযা অবস্থায় কুলি করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তা কাযা করতে হবে।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭৩৮০
আরো দেখুন : মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৯৮৪৪-৯৮৪৭; ফাতাওয়া শামী ২/৪০১

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
আপনি প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন।
যদি প্রবল ধারণা হয় যে পানি গলায় চলে গিয়েছে,সেক্ষেত্রে উক্ত রোযার কাজা আদায় করতে হবে।

আর যদি প্রবল ধারণা হয় যে পানি গলায় চলে যায়নি,সেক্ষেত্রে উক্ত রোযা আদায় হয়ে গিয়েছে।

আর যদি কোনোদিকেই প্রবল ধারণা না হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত সতর্কতামূলক উক্ত রোযার কাজা আদায় করে নিবেন।

(০২)
আপনি প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন।
যদি প্রবল ধারণা হয় যে পানি নাক দিয়ে ভিতরে চলে গিয়েছে,সেক্ষেত্রে উক্ত রোযার কাজা আদায় করতে হবে।

আর যদি প্রবল ধারণা হয় যে পানি নাক দিয়ে ভিতরে চলে যায়নি,সেক্ষেত্রে উক্ত রোযা আদায় হয়ে গিয়েছে।

আর যদি কোনোদিকেই প্রবল ধারণা না হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত রোযা ভেঙ্গে দিবেননা,এবং পরবর্তীতে সতর্কতামূলক উক্ত রোযার কাজা আদায় করে নিবেন।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার রোযা হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...