আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামুআলাইকুম। পুরো লেখাটা সম্পূর্ণ মনযোগ সহকারে পড়ে এরপর ফতোয়া দেবেন ইনশাআল্লাহ।
আমার স্বামী একদিন আমাকে বলে যে ঔষধ নিয়ে আমি অনিয়ম করলে ওনার মুখ দিয়ে উল্টাপাল্টা কিছু বের হয়ে যাবে তখন আমিও কাঁদবো উনিও কাঁদবেন। এ কথা বলার আমি আবারও একদিন অনিয়ম করে ফেলি। করার পর তাকে প্রশ্ন করি আপনি কী ওই কথার দ্বারা আমাকে তালাক বুঝিয়েছেন(উনি ভেবেছিলেন আমি তাতক্ষনিক তালাক দিয়েছে কিনা এটা জানতে চাচ্ছি)। উনি বলেন যে না। এরপর  আমি তাকে জিজ্ঞেস করি যে কী বের হলে মানুষ কাঁদে? (আমি তালাক বুঝিয়েছি কিন্তু উচ্চারণ করিনি) তখন উনি বলেন যে 'আবার করলে বলছি' ' আবার কী করছো' তখন আমি তাকে বললাম আমি তো কাজটি আবারও করে ফেলেছি। তখন উনি বলেন যে আবার করলে বের হবে বলছি। আবার করছো আরকি কিছু বের হইছে? বের না হলে কিছুই হবে না!

হুজুর আমার প্রশ্ন হলো আমি যে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কী বের হলে মানুষ কাঁদে? তখন উনি যে আমার প্রশ্নের প্রতিত্তোরে  প্রথমে বলেছিলেন 'আবার করলে বলছি' (কাজটা তো আমি আবার করেছিলাম) এ কথার দ্বারা উনার তালাকের ইচ্ছা বোঝা যায়? এ কথার দ্বারা আমার উপর তালাক কার্যকর হয়েছে? হলে কত তালাক হয়েছে? এখন আমারা স্বামী স্ত্রী হিসেবে থাকতে চাইলে করনীয় কী?

হুজুর আমার আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কী বের হলে মানুষ কাঁদে মানে ইঙ্গিত দিয়ে তালাকের কথা জিজ্ঞেস করেছি তালাক উচ্চারণ করিনি। উনিও আমার ইঙ্গিত পূর্ণ কথাটা বুঝেই বলেছেন 'আবার করলে বলেছি'। উনিও কিন্তু স্পষ্ট তালাক উচ্চারণ করেনি। কাজটা আমি এ কথা বলার পরেও করেছি দেখে অশান্তি লাগছে মনে।
আমাদের বর্তমান বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে কিনা দয়া করে জানাবেন প্লিজ। ওসওয়াসা বলে এড়িয়ে যাবেন না। এই প্রত্যেকটা কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ النِّكَاحُ وَالطَّلاَقُ وَالرَّجْعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
 
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি বিষয় এমন যেগুলির যথার্থ তো যথার্থই এমনকি সেগুলোর কৌতুকের ব্যবহারও যথার্থ: বিবাহ, তালাক, রাজআত। - ইবনু মাজাহ ২০৩৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৫

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব।

★শরীয়তের বিধান হল "তালাক দিয়ে দিবো","ছেড়ে দিয়ে দিবো", এ কথা গুলি বলার দ্বারা তালাক পতিত হবে না।
কারণ, ভবিষ্যতের দিকে তালাকের সম্বন্ধ করলে তালাক পতিত হয় না।
এগুলো ওয়াদা মূলক কথা মাত্র,এতে তালাক পতিত হয়না।
(রদ্দুল মুহতার ৪/২৭৪; হেদায়াহ ১/২৮০।)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...