আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
359 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (11 points)
আমি এই https://ifatwa.info/9340/ প্রশ্নটি
করেছিলাম।হারাম খাবারের পূর্বে বিসমিল্লাহ বলা প্রসংগে।

তো এখন কয়েকটা বিষয় নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছছি।

অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করে রান্না করা খাবার খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলা যাবে কি?
বিঃদ্রঃঅতি শীঘ্রই অবৈধ গ্যাস ব্যবহার বাদ দিব ইনশাআল্লাহ।
আর রোজার দিনের  কেউ যদি রোজা না রাখে এবং খাবার খায় তখন বিসমিল্লাহ বলা যাবে কি?

এই দুই ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহ বলা যাবে কি?বা কুফরির সম্ভাবনা আছে কি।কাজগুলা যে হারাম সে ব্যপারে মানি। হারামকে হালাল  মনে করি না।

আর আমি কম্পিউটার সায়ন্স এর স্টুডেন্ট।।এখন অনলাইন ক্লাস বা এমনিতেও পড়ার জন্য সবসময় কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়।।এই ক্ষেত্রে কম্পিউটারে যে উইন্ডোজ ব্যবহার করি সেইটা তো কপি।। রিয়েল না।।তো এই ব্যপারে ফতোয়া দেখলাম যে জেনুইনটি কিনার সামর্থ না থাকলে এবং ওনাদের মৌন সম্মতি থাকলে ব্যবহার জায়েজ।তো সামর্থ এর মাপকাঠি ঠিক বুঝছি না।।যারা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে কম্পিউটারের যে দাম তার তিন ভাগের একভাগ দিয়েই প্রায় সফটওয়্যার কেনা যায়।সেই হিসেবে বাধ্যতামূলক ভাবে কিনতে হলে সবাইকে কিনতে হতো।কিন্তু আমাদের শিক্ষার জন্য এত টাকা দিয়ে সফটওয়্যার কিনাটা কষ্টসাধ্য ব্যপার।।আবার শুধু যে উইন্ডোজ তাও না আরো অনেক সফটওয়্যারই প্রয়োজন যার আসলটার অনেক দাম।

তো এইক্ষেত্রর পড়া শুরু করার সময় কম্পিউটার চালু করার সময়  অনেক সময়ই বিসমিল্লাহ বলেই শুরু করে।।।চাইলেও অভ্যাস সহযে যাবে না।এইক্ষেত্রে কি কুফুরির সম্ভাবনা আছে।

আর ঈমান হারাতে হবে এমন কাজ কখনোই করতে চাই না।।দয়া করে বিষয়গুলো একটু বুঝিয়ে বলতেন যদি ভালো হতো বা এখন করণীয় কি হতে পারে।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হারাম খাবার যেমন খাওয়া যাবেনা,হারাম সম্পদ ব্যবহার করাও জায়েজ হবেনা।   
তাই সর্বক্ষেত্রে হারাম থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
,
রাসূল সা. বলেন:

«إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: (يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ) [المؤمنون: 51] وَقَالَ: (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ) [البقرة: 172] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟»

‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআল পবিত্র। তিনি শুধু পবিত্র বস্ত্তই গ্রহণ করেন। তিনি মুমিনদের সেই আদেশই দিয়েছেন, যে আদেশ তিনি দিয়েছিলেন রাসূলগণের।’’ আল্লাহ তা’আলা বলেন : ‘‘হে ইমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্ত্ত-সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসেবে দান করেছি।’’ অতঃপর রাসূল সা. এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দীর্ঘ সফরে থাকা অবস্থায় এলোমেলো চুল ও ধূলি-ধুসরিত ক্লান্ত-শ্রান্ত বদনে আকাশের দিকে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করে ডাকছেঃ হে আমার প্রভূ! হে আমার প্রভূ! অথচ সে যা খায় তা হারাম, যা পান করে তা হারাম, যা পরিধান করে তা হারাম এবং হারামের দ্বারা সে পুষ্টি অর্জন করে। তার প্রার্থনা কিভাবে কবুল হবে?’
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১০১৫)

ইবন আব্বাস রা.বর্ণিত হাদীসে রাসূল সা. বলেছেনঃ
«كل جسد نبت من سحت فالنار أولى به »

‘‘আর যে দেহ হারাম খাদ্য দ্বারা গড়ে উঠে তার জন্য দোযখের আগুনই উত্তম।’’
(তাবারানী)

কাব ইবন উজরাহ রা. রাসূলে কারীম সা. থেকে বর্ণনা করেন:

«لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ جَسَدٌ غُذِّيَ بِحَرَامٍ»

‘‘যে শরীর হারাম পেয়ে হরষ্ট পুষ্ট হয়েছে, তা জান্নাতে যাবে না।’’
 মুসনাদ আবী ইয়া‘লা, খ.১ পৃ. ৮৪। 

নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত

 ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ

নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯)
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু উক্ত খাবার অবৈধ গ্যাসে পাকানো হয়েছে,তাই কিছুটা উক্ত খাবারের ভিতরেও হারামের প্রবেশ আছে।
তাই সতর্কতামূলক উক্ত খাবার খাওয়ার সময় জেনে শুনে বিসমিল্লাহ বলবেননা।

তবে এই ছুরতে যেহেতু উক্ত খাবারের অধিকাংশঅধিকাংশ অংশই হালাল।
তাই এই ছুরতে কেহ জেনে শুনে  বিসমিল্লাহ বলে খেলেও কাফির হবেনা।

কারন এর অধিকাংশ অংশই হালাল।  
★তবে ঠাট্রা,উপহাস করে বিসমিল্লাহ বলে খেলে কাফের হয়ে যাবে। 
,
তবে সতর্কতামূলক উক্ত খাবার খাওয়ার সময় জেনে শুনে বিসমিল্লাহ বলবেননা।
এতেও গুনাহ হবে।
তওবা করতে হবে।
,
★রোজা না রেখে দিনের বেলা হালাল খাবার খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলে খেলে কাফির হয়ে যাবেনা।  
তবে ঠাট্রা,উপহাস করে বিসমিল্লাহ বলে খেলে কাফের হয়ে যাবে। 

 বিস্তারিত জানুনঃ   
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কর্তৃপক্ষের সম্মতি তথা অনুমতি থাকলে উক্ত উইন্ডোজ ব্যবহার করা জায়েজ আছে।

আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (559,140 points)
তবে ঠাট্রা করে বিসমিল্লাহ বলে খেলে কাফের হয়ে যাবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...