আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
১)আসসালামু আলাইকুম।আমি একজন মেয়ে আমি তিনদিনের জন্য ইতেকাফ করতে চাই।আমি বাসায়ই ইতেকাফ করতে চাই।বাসায় যেখানে সবসময় নামাজ পড়ি এমন রুমে।এখন এই তিন দিন ২৫ রমাদান থেকে ২৭ রমাদান পর্যন্ত করতে চাচ্ছি। এভাবে কি করা যাবে?১০ দিনের যেকোনো তিনদিন, নাকি একদম শেষের তিনদিনই ইতেকাফ করতে হবে?

২) আমাদের পাশের বাসায় এক হাফেজ আছে যিনি কাউকে কুফুরি করা হয়েছে কি না জানার জন্য নতুন বদনায় পানি নিয়ে তার উপর কুরআন রেখে তার উপর সন্দেহভাজন ব্যাক্তির নাম লিখে কি যেন পরে,,তারপর নাম দেওয়া ব্যাক্তিটি যদি কুফুরি করে থাকে তবে তার নামে কুরআন ঘুরে। এটা করা কি জায়েজ? আবার ইনি শত্রুকে ধ্বংস করার জন্য একটি কাচি পড়ে দেন,সেটা শত্রুর চলার রাস্তায় সূরা ফাতিহা পড়ে মনে মনে শত্রুর নাম নিয়ে সাতটি দাগ কাটতে হয়,এটা কি জায়েজ আছে?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ইতিকাফ তিন প্রকার :

১. সুন্নত ইতিকাফ।

রমযানের শেষ দশকে একুশ তারিখের রাত [অর্থাৎ ২০ তারিখ সূর্যাস্তের আগ] থেকে ঈদের চাঁদ দেখা পর্যন্ত ইতিকাফ করা।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বছর এ দিনগুলোতে ইতিকাফ করতেন, তাই একে সুন্নত ইতিকাফ বলা হয়।

২. নফল ইতিকাফ।

রমযানের শেষ দশকে পূর্ণ দশ দিনের কম ইতিকাফ করা। অথবা বছরের অন্য যেকোনো সময় যতক্ষণ ইচ্ছা, ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করা।

৩. ওয়াজিব ইতিকাফ।

মান্নতকৃত ইতিকাফ এবং সুন্নত ইতিকাফ ফাসেদ হয়ে গেলে তার কাযা আদায় করা।

হাদীস শরীফে এসেছে-

أن النبيَّ صلى الله عليه وسلم كان يعتكِفُ العشرَ الأواخِرَ من رمضانَ، فلم يعتكِفْ عاماً، فلما كان العامُ المُقْبِلُ اعتكفَ عشرينَ ليلةً.

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতেন। কিন্তু এক বছর ইতিকাফ করতে পারেননি। পরবর্তী বছর বিশ রাত (দিন) ইতিকাফ করেছেন। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪৬৩

ইতিকাফের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর লাভ করার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাইলাতুল কদর লাভের আশায় একবার রমযানের প্রথম দশ দিন ইতিকাফ করেন। এরপর কয়েকবার ইতিকাফ করেন মাঝের দশ দিন। এরপর একসময় শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতে শুরু করেন এবং ইরশাদ করেন-

تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ.

তোমরা রমযানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ কর। (সহীহ বুখারী, হাদীস ২০২০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি এভাবে তিনদিন ইতেকাফ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনার নফল ইতেকাফ হবে।
নফল ইতেকাফের ছওয়াব হবে। 

১০ দিনের যেকোনো তিনদিন আপনি ইতেকাফ করতে পারেন।
কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

(০২)
উপরোক্ত কাজ গুলি অনেক ইসলামী স্কলারদের মতে নাজায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 41 views
...