জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইতিকাফ তিন প্রকার :
১. সুন্নত ইতিকাফ।
রমযানের শেষ দশকে একুশ তারিখের রাত [অর্থাৎ ২০ তারিখ সূর্যাস্তের আগ] থেকে ঈদের চাঁদ দেখা পর্যন্ত ইতিকাফ করা।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বছর এ দিনগুলোতে ইতিকাফ করতেন, তাই একে সুন্নত ইতিকাফ বলা হয়।
২. নফল ইতিকাফ।
রমযানের শেষ দশকে পূর্ণ দশ দিনের কম ইতিকাফ করা। অথবা বছরের অন্য যেকোনো সময় যতক্ষণ ইচ্ছা, ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করা।
৩. ওয়াজিব ইতিকাফ।
মান্নতকৃত ইতিকাফ এবং সুন্নত ইতিকাফ ফাসেদ হয়ে গেলে তার কাযা আদায় করা।
হাদীস শরীফে এসেছে-
أن النبيَّ صلى الله عليه وسلم كان يعتكِفُ العشرَ الأواخِرَ من رمضانَ، فلم يعتكِفْ عاماً، فلما كان العامُ المُقْبِلُ اعتكفَ عشرينَ ليلةً.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতেন। কিন্তু এক বছর ইতিকাফ করতে পারেননি। পরবর্তী বছর বিশ রাত (দিন) ইতিকাফ করেছেন। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪৬৩
ইতিকাফের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর লাভ করার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাইলাতুল কদর লাভের আশায় একবার রমযানের প্রথম দশ দিন ইতিকাফ করেন। এরপর কয়েকবার ইতিকাফ করেন মাঝের দশ দিন। এরপর একসময় শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতে শুরু করেন এবং ইরশাদ করেন-
تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ.
তোমরা রমযানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ কর। (সহীহ বুখারী, হাদীস ২০২০)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে আপনার নফল ইতেকাফ হবে।
নফল ইতেকাফের ছওয়াব হবে।
যে কয়দিন ইতেকাফে বসবেন,সে কয়দিনের জন্য আলাদা ছওয়াব পাবেন।
(০২)
ইতেকাফের কক্ষে অবস্থান করে প্রয়োজনে কথা বলা যাবে।
(০৩)
সেক্ষেত্রে আগে নামাজ পড়বেন,তারপর চাইলে যিকির করতে পারেন।
নামাজের আগে যিকির করবেননা।
(০৪)
এক্ষেত্রে থুথুর সাথে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হলে আর সেউ থুথু ঘুমের মধ্যে পেটে চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।