জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত তালমাখনা যাহা মুখে আটকিয়ে ছিলো,সেটার পরিমান যদি বুট সমপরিমাণ হয়,তাহলে তা গিলে ফেলার দ্বারা নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
উক্ত নামাজ আপনাকে পুনরায় আদায় করতে হবে।
আর যদি সেটার পরিমান বুট সমপরিমাণ না হয়,বরং একেবারেই সামান্য হয়,তাহলে নামাজ ফাসেদ হবেনা।
,
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো নামাজি ব্যাক্তির যদি কোনো ছোট থেকে ছোট বস্তুও মুখে পড়ার পর গিলে ফেলে,তাহলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
এমনকি নামাজের ভিতর যদি আসমানের দিকে চেহারা দেওয়ার কারনে বা অন্য কোনো কারনে বৃষ্টি বা অন্য কোনো এক ফোটা পানি মুখের ভিতর চলে আসে,এবং সে তা গিলে ফেলে,তাহলেও নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
,
যদি দাতের ভিতর কোনো খাদ্য আটকে গিয়ে থাকে,তা যদি বুট সমপরিমাণ হয়,তাহলে তা গিলে ফেলার দ্বারা নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
,
আর যদি বুটের চেয়ে ছোট হয়,খুবই সামান্য হয়,দাত দ্বারা চিবানো ছাড়াই এমনিতেই গলার ভিতর চলে যায়, তাহলে তা গিলে ফেলার দ্বারা নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
হ্যাঁ যদি তা এমন শক্ত হয়,যে তাকে দাত দ্বারা চিবাইতে হয়,তাহলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/১০০)
নামাজে খাওয়া ও পান করা। নামাজরত অবস্থায় কিছু খেলে বা পান করলে নামাজ ভেঙে যায়। দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার নামাজরত অবস্থায় খেলেও নামাজ ভেঙে যাবে। (মারাকিল ফালাহ ১/১২১, নূরুল ঈজাহ ১/৬৮)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن عطاء أنہ قال: لا یأکل ولا یشرب وہو یصلي، فإن فعل أعاد۔ (المصنف لعبد الرزاق، المکروہات / باب الکلا في الصلاۃ ۲؍۳۳۲ رقم: ۳۵۷۹، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۲؍۲۳۵ رقم: ۲۲۷۱ زکریا)
নামাজ রত অবস্থায় কোনো কিছু খাবেনা,পান করবেনা।
যদি কেহ এমন করে,তাহলে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করবে।
ویفسدہا أکل ما بین أسنانہ إن کان کثیر وہو أي الکثیر قدر الحمّصۃ ولو بعمل قلیل لإمکان الاحتراز عنہ، بخلاف القلیل بعمل القلیل؛ لأنہ تبع لریقہ وإن کان بعمل کثیر فسد بالعمل۔ (مراقي الفلاح)
মুখের ভিতরেই যদি কোনো খাবার থাকে,বুটের চেয়ে ছোট হলে তা খাওয়ার দ্বারা নামাজ ফাসেদ হয়ে যায়না।
আরো জানুনঃ