আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in সাওম (Fasting) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।
আমি  জীবিকার উদ্দেশ্যে  আজ ২০ রমজান দিবাগত রাত ১.৩০ মিনিট এ বিমানে উঠবো,, আমি তো সৌদি গেলে ২১ রমজান হয়ে যাবে।  সেহেরি খাবো হয়তো বিমানে।  আর আমার অবতরণের সময় ভোর ৫:১০।  বের হতে হতে সৌদির সময় ৮.০০ টা। ফজরের নামাজ ভিতরে পড়তে না পারলে কাজা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আমার প্রশ্ন হলো : আজকে সবাই ২০ রমজানের সেহেরি খাবে।  তো আমি কী ২১ রমজানের সেহেরীর নিয়্যত করে সেহেরী খাবো? না  ২০?

আর ১টি রোজা পাবো না ওই রোজা কী পরে রাখতে হবে?

নামাজ : নামাজ কাযা হলে কী সমস্যা হবে?

এটা কী সফরের নামাজের কাযা নিয়্যত করে আদায় করবো?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ الأَخْنَسِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الصَّوْمُ يَوْمَ تَصُومُونَ وَالْفِطْرُ يَوْمَ تُفْطِرُونَ وَالأَضْحَى يَوْمَ تُضَحُّونَ

আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যেদিন তোমরা সবাই রোযা পালন কর সে দিন হল রোযা। যেদিন তোমরা সবাই রোযা ভঙ্গ কর সে দিন হল ঈদুল ফিতর। আর যেদিন তোমরা সবাই কুরবানী কর সে দিন হল ঈদুল আযহা। — সহীহ,তিরমিজি ৬৯৭. ইবনু মা-জাহ (১৬৬০)

এক দেশে চাঁদ দেখে রোজা রাখার পর কেউ যদি অন্য কোনো দেশে চলে যায়, তাহলে সে ওই দেশের সংখ্যা ও নিয়ম মেনে বাকি রোজা পালন করবে এবং ওই দেশের সময় ও জনসাধারণের সঙ্গে ঈদ পালন করবে। আর এই স্থান পাল্টানোর কারণে মাঝখান থেকে যে কয়টি রোজা তার কম হবে,সেগুলোকে রমজান মাসের পর কোনো সুবিধাজনক সময়ে কাজা আদায় করে নিতে হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সৌদি আরবের হিসেবেই রোযা,ঈদ পালন করবেন।
,
পরবর্তীতে ঐ একটি রোযার কাজা আদায় করে নিবেন।

আপনি কোনো নির্দিষ্ট তারিখের নিয়তে রোযা রাখবেননা। শুধুমাত্র ফরজ রোযার নিয়ত করবেন।

নামাজ কসর আদায় করবেন।
ফজরের নামাজের যেহেতু কসর নেই,তাই পরবর্তীতে কাজা আদায়ের সময় দুই রাকাতেরই কাজা আদায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 446 views
...