আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)
reshown by

আসসালামু আলাইকুম। 

১। বিয়ের প্রথম রাতে অর্থাৎ বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে কোন বিষয় নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন বা  উত্তম?  কোন কোন বিষয়ে স্ত্রী কে নাসিহা করা  প্রয়োজন ? 

২। বিয়ের প্রথম রাতে অর্থাৎ বাসর রাতে স্ত্রী হিসেবে করণীও কী ? কোন কোন বিষয় নিয়ে স্বামী্র সাথে কথা বলা প্রয়োজন বা কোন কোন কাজ গুলো করা  প্রয়োজন? 

৩।  বিয়ের পর প্রথম রাত্রে অর্থাৎ বাসর রাতে  স্ত্রী সহবাসের ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করা জায়েজ হবে ?

৪। যদি জায়েজ হয় এবং কনডম বিহীন সহবাসে স্ত্রী যদি সম্মতি না দেয় সেক্ষেত্রে করণীয় কি ? 

৫।  বিয়ের পর প্রথম রাত্রে অর্থাৎ বাসর রাতে  স্ত্রী সহবাসের ক্ষেত্রে আজল করা জায়েজ হবে ?( সন্তানের ভরন পোষন করার সামথ্য থাকা সরতেও যদি আজল করা হয়, যেহেতু প্রথম বার এবং কোন পরিকল্পনা নেই। [ সন্তান দেয়ার মালিক আল্লাহ্‌ ]। 

৬। যদি স্ত্রী  প্রেগন্যান্ট হয় অর্থাৎ ১ - ৮ মাস, সেক্ষেত্রে সহবাসের পর কি আজল করতে হবে নাকি গোপনাঙ্গো যনির ভিতরে থাকা অবস্থায়  বীর্য পাত করা যাবে?  

৭। ছেলে হিসেবে আমরা চাই যে আমার বাবা মাকে আমার স্ত্রী যথাসম্ভব সম্মান করবে এবং তাদের খেদমত করবে কিন্তু ইসলাম এর জন্য স্ত্রী কে বাদ্য করতে নিসেদ করেছেন? সেক্ষেত্রে প্রথম রাতে এর জন্য কিভাবে উত্তম নাসিহা করা যেতে পারে ? 

৮। মেয়ে  হিসেবে আমরা চাই যে আমার বাবা মাকে আমার  স্বামী যথাসম্ভব সম্মান করবে এবং তাদের খুঁজো খবর নিবে কিন্তু ইসলাম বলে এর জন্য স্বামীো  বাদ্য নয়, সেক্ষেত্রে প্রথম রাতে এর জন্য কিভাবে উত্তম ভাবে আলোচনা করা যেতে পারে ?

৯।  গ্রামের জয়েন ফেমিলি তে থাকা অবস্থায় বিয়ে করা হলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী কে কিভাবে পর্দা করার পরিবেশ করে দিতে পারি বা সে কিভাবে পর্দা করবে যেখানে ঘরের বাহিরে গিয়ে রান্না করতে হয়? যদি পরিবারের অন্যান্য পূরুষ সদস্য পর্দার বিষয়ে আংশিক ধারনা রাখে তাহলে তাদের কে কিভাবে উত্তম ভাবে বুঝাতে পারি? 

১০। যদি আলাদা বাথরুম এবং গোসল খানার ব্যাবস্থা না থাকে এক্ষেত্রে কিভাবে পর্দা মেইন্টেইন করবে? , এমন অবস্থায় একজন স্বামী হিসেবে স্ত্রীর জন্য আলাদা বাথরুম এবং গোসল করা লাগবে নাকি যদি সামথ্য না থাকে  অনত্র জয়েন ফেমিলি থেকে আলা বাসা ভারা নিয়ে  স্ত্রী কে রাখতে হবে, পর্দার পরিবেশ করার জন্য ? সেক্ষেত্রে আবার মা বাবা থেকে একটু দূরে চলে যেতে হচ্ছে । 

১১। বিয়ের পর অলিমার ক্ষেত্রে আমি চাই যে অলিমা করে আত্তিও স্বজন এবং বন্ধু বান্ধব কে দাওয়াত করে খাওয়াবো, এবং এর বিনিময়ে টাকা  নিবো না , সেক্ষেত্রে করণীও কি তাদের কে কিভাবে এই বিষয়ে সচেতন করবো বা জানিয়ে দিবো? কারন এখন কার সময়ে বউবাত করে টেবিল বসিয়ে টাকা নেয়ার রেওয়াজ প্রচলিত আছে।  যদি কেউ যুর করে দিয়ে যায় তাহলে তা নেয়া যাবে?  

১২। বিয়ের মোহর নির্ধারণ এর ক্ষেত্রে ছেলে হিসেবে কি আগে প্রস্তাব দেয় নাকি মেয়ের পক্ষ্য থেকে প্রস্তাব আসে, আর আমার সামরথ যত টুক আছে সেই টুক মোহর এর বিষয়ে কিভাবে উপস্থান করবো ( এক্ষেত্রে কি আমার মুরুব্বি রা এই বিষয় নিয়ে কথা বলবে আমি তাদের আমার সামথ জানিয়ে দিবো নাকি আমি কথা বলবো) ? 

১৩। Islamic Fatwa এর প্রশ্ন উত্তরের এই কাযক্রম কে আর্থিক ভাবে সহায়তা করে সাথে থাকবো  কিভাবে? 

জাযাকাল্লাহ খাইরান। 

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) বিয়ের প্রথম রাতে অর্থাৎ বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে ভবিষ্যত দ্বীনি পরিবার তৈরীর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করাই উত্তম।

(২) বিয়ের প্রথম রাতে অর্থাৎ বাসর রাতে স্ত্রী হিসেবেও ভবিষ্যত দ্বীনি পরিবার তৈরীর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করাই উত্তম।  

(৩)  বিয়ের পর প্রথম রাত্রে বা পরবর্তীতে হোক, কনডম ব্যবহার না করাই উত্তম ও উচিত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1907

(৪) উপরের লিংকে ক্লিক করুন।

(৫)  উপরের লিংকে ক্লিক করুন।

(৬) স্ত্রী প্রেগন্যান্ট থাকাবস্থায় যোনির  বীর্যপাত করা যাবে?।

(৭) হেকমত ও প্রজ্ঞার সাথে নরম দিলে স্ত্রী নাসিহা করবেন।

(৮) হেকমত ও প্রজ্ঞার সাথে নরম দিলে স্ত্রী নাসিহা করবেন।

(৯)  হেকমত ও প্রজ্ঞার সাথে নরম দিলে স্ত্রী নাসিহা করবেন।

(১০) একজন স্বামী হিসেবে স্ত্রীর জন্য আলাদা বাথরুম এবং গোসলখানার ব্যবস্থা করা ওয়াজিব।

(১১) বিয়ের পর ওলিমা করবেন।যদি কেউ জোর করে হাদিয়া দিয়ে যায়, তাহলে গ্রহণ করতে বাধা নেই।

(১২) বিয়ের মোহর উভয় মিলে ঠিক করবে। সাধারণত নারীরাই বিয়ের প্রস্তাব দিবে।

(১৩) আমাদের অফিসে যোগাযোগ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...