আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (3 points)
edited by
1। আসসালামুআলাইকুম। আমি এক ব্যাক্তিকে যাকাত দিতে চাই। সে ব্যক্তি ঋণগ্রস্থ। কিন্ত তার ছোট একটা মুদি দোকান আছে। মুদি দোকানটাও ভালোভাবে চলে না। তার নামে একটি জমি কেনার জন্য লোন নিয়েছে। কিন্তু এখনও তার নামে জমি রেজিস্টি করে নাই। সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- তাকে যাকাতের টাকা দিলে যাকাত আদায় হবে কি?

2। আমার বাবার জমি নামজারি করে (উত্তরাধিকার সূত্রে) আমার এবং মার নামে এসেছে। জমি থেকে কোন আয় আসে না। এখন কি এই জমির যাকাত দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কে যাকাত খেতে পারবে?
وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.
অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু) এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে। তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯)

والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(অক্রমবর্ধমান)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।(বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেই ব্যক্তিকে যাকাত দিতে চাচ্ছেন, তার নিকট যদি নেসাব পরিমাণ মাল থাকে, তাহলে তাকে যাকাত দিতে পারবেন না।তাকে দিলে আপনার যাকাত আদায় হবে না, কিন্তু যদি তার নেসাব পরিমাণ মাল না থাকে, তাহলে আপনি তাকে যাকাত দিতে পারবেন।

তার সম্পর্কে যাচাই বাচাই করে নিবেন। যদি তার নামী তথা ক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণ মাল থাকে, তাহলে তার উপর যাকাত ফরয।আর যদি নেসাব পরিমাণ অক্রমবর্ধমান মাল তার নিকট থাকে, তাহলে বিনা জরুরতে সে যাকাত গ্রহণ করতে পারবে না।তবে বিশেষ জরুরত হলে সেও যাকাত গ্রহণ করতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...