আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in সাওম (Fasting) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ।
১. গর্ভবতী অবস্থায় এ"তেকাফে বসতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে নরম বিছানা যেখানে সাধারণত নামায পড়া হয় না, বসা যাবে? শক্ত স্থানে দীর্ঘকাল বসে থাকা শারীরিকভাবে আমার জন্য খুবই কষ্টকর।
২. এ"তেকাফের সময় মাদ্রাসার পড়াশোনা বা অন্য পড়াশোনা করা যাবে? এক্ষেত্রে প্রয়োজনে ফোন ব্যবহার করা যাবে?

৩. স্বাভাবিকভাবেই আমার ঘুম ও ইস্তিঞ্জার প্রয়োজন অনান্যদের থেকে বেশি, বেশি সময় ঘুম ও বারবার বাথরুমে গেলে কি এ"তেকাফ আদায় হবে?
৪. খাবার খেয়ে হাত ধোয়ার জন্য কি ওঠা যাবে? আমাকে কি সর্বক্ষণ একই স্থানে বসতে হবে? ঘরের অন্য স্থানে যেতে পারব? ঘুমের জন্য কি অন্য স্থান ব্যবহার করব?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وليس لها أن تعتكف في غير موضع صلاتها من بيتها وإن لم يكن فيه مسجد لا يجوز لها الاعتكاف فيه ولا تخرج من بيتها إذا اعتكف فيه قال - رحمه الله - (ولا يخرج منه إلا لحاجة شرعية كالجمعة أو طبيعية كالبول والغائط) لما روينا من الأثر عن عائشة - رضي الله عنها - ولما روي عنها أنها قالت «كان النبي - صلى الله عليه وسلم - لا يدخل البيت إلا لحاجة الإنسان إذا كان معتكفا» متفق عليه تريد البول والغائط هكذا فسره الزهري 
ঘরের মসজিদ ব্যতীত অন্যত্র এ'তেক্বাফ করা নারীদের জন্য জায়েয নয়।যদি ঘরে কোনো মসজিদ না থাকে তথা নামাযের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকে।তাহলে উক্ত ঘরে এ'তেক্বাফ করা জায়েয  হবে না। যখন মহিলা কোনো কামরায় এ'তেকাফ শুরু করে দিবে তখন সে মহিলা আর ঐ কামরা থেকে বাহিরে যেতে পারবে না।তবে শরয়ী প্রয়োজনে যেমনঃ জুম্মার সালাত(এটা তখনকার বিধান যখন ফিৎনা ছিলনা), এবং প্রকৃতিগত প্রয়োজন যেমন প্রস্রাব পায়খানা ইত্যাদির জন্য ঐ কামরা থেকে বাহিরে যাওয়া যাবে।
যেমন হয়রত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এ'তেক্বাফ অবস্থায় জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত মসজিদ থেকে ঘরে আসতেন না।জরুরী প্রয়োজন বলতে প্রস্রাব-পায়খানা উদ্দেশ্য। (তাবয়ীনুল হাক্বাঈক্ব-১/৩৫০) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1322

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) গর্ভবতী অবস্থায় এ"তেকাফে বসা যাবে। এক্ষেত্রে নরম বিছানা যেখানে সাধারণত নামায পড়া হয় না, তাতেও বসা যাবে। 
(২) এ"তেকাফের সময় মাদ্রাসার পড়াশোনা বা অন্য পড়াশোনা করা যাবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে ফোন ব্যবহার করা যাবে। তবে ইতিকাফের মূল উদ্দেশ্য হল, নিরবে একাগ্রতার সাথে আল্লাহর যিকির করা, তাতে যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, সে দিকে গুরুত্ব সহকারে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিনা জরুরতে ইতিকাফ স্থল থেকে তথা ইতিকাফের রুম থেকে বের হলেই কেবল ইতিকাফ ফাসিদ হবে। 
(৩) বেশি সময় ঘুম ও বারবার বাথরুমে গেলে এ"তেকাফ ফাসিদ হবে না। 
(৪) খাবার খেয়ে হাত ধোয়ার জন্য অন্য রুমে যাওয়া যাবে না। বাথরুম ও ফরয গোসলের জরুরত ব্যতিত রুম থেকে বের হওয়া যাবে না। বরং সর্বক্ষণ একই স্থানে বসে থাকতে হবে। ঘরের অন্য স্থানে তথা অন্য রুমে যাওয়া যাবে না। এবং ঘুমের জন্য অন্য রুম ব্যবহার করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 434 views
...