আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম শাইখ,
আমার একটা ইসলাম প্রাক্টিসিং ফ্রেন্ডসার্কেল ছিল। সেখানে একজন ছিলো যে চুগোলখোর স্বভাবএর। সেই মেয়ে সবার সাথে কথা লাগিয়ে বেড়াতো। ওর নজরেও অনেক সমস্যা ছিল। আমাদের ফ্রেন্ডের মধ্যে কারো ভালো বিয়ের প্রস্তাব আসলে সেই প্রস্তাব সে নিজের জন্য ভালো মনে করতো। কারো কোনো ভালো বিয়ের প্রস্তাব আসলে সেই মেয়ে জানার পরে আর কখনো কারো বিয়ের প্রস্তাব আগাতো না। আর সে কিছুদিন পর পর শুধু শুধু ঝগড়া করতো , কষ্ট দিয়ে কথা বলতো। এগুলা বুঝার পরে আমরা সবাই ওকে বাদ দিয়ে দেই আমাদের প্রাক্টিসিং ফ্রেন্ড থেকে। ওকে বাদ দেয়ার পরে সে দেখা যায় পরিচিত অপরিচিত সবার কাছেই আমাদের নামে উল্টা পালটা কথা বলে বেড়াতো। আমরা যেহেতু একই ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ছিলাম যাকে বলতো তারা আবার আমাদেরকে এসে বলে দিতো। আর অভিশাপ টাইপ পোস্ট, স্টোরি দিতো। এগুলো দেখে আমরা সিন্ধান্ত নিই ওকে ওর ভুল গুলো ধরে একটা মেসেজ দেই, যে এই কারণে আমরা তোমার সাথে বন্ধু থাকতে পারছি না। মেসেজ গুলা দেয়ার পরে সে খুব রেগে যায়। এখনও মানুষকে বলে বেড়ায় আমাদের কথা আমরা ওকে অনেক কষ্ট দিয়েছি, নামাজে অনেক কান্না করছে আমাদের ব্যবহারে।
এখন আমি জানতে চাচ্ছি  সেই মেয়েকে কেন বাদ দিয়েছি এগুলো বলে মেসেজ দেয়ায় সে কষ্ট পেয়েছে এজন্য কি আমি তার প্রতি জুলুম করেছি? আমি কি এখন ওর কাছে মাফ চাবো? ওর মা কালজাদু কবিরাজদের কাছে যাওয়া আসা করে ওর আচরণও আমাদের কাছে অদ্ভুত লাগে। সে অন্ধকারে থাকতে পছন্দ করে।  ভূতের গল্প না শুনে ঘুম আসে না।  গভীর রাতে ঘর অন্ধকার করে চুল খুলে মোম জ্বালিয়ে রাখে।

1 Answer

0 votes
by (589,170 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ মূসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, 
عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّمَا مَثَلُ الْجَلِيسِ الصَّالِحِ وَالْجَلِيسِ السَّوْءِ كَحَامِلِ الْمِسْكِ وَنَافِخِ الْكِيرِ فَحَامِلُ الْمِسْكِ إِمَّا أَنْ يُحْذِيَكَ وَإِمَّا أَنْ تَبْتَاعَ مِنْهُ وَإِمَّا أَنْ تَجِدَ مِنْهُ رِيحًا طَيِّبَةً وَنَافِخُ الْكِيرِ إِمَّا أَنْ يُحْرِقَ ثِيَابَكَ وَإِمَّا أَنْ تَجِدَ رِيحًا خَبِيثَةً " .
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সৎসঙ্গ ও অসৎসঙ্গের উদাহরণ মিশক বিক্রেতা ও অগ্নিকুণ্ডে ফুৎকারকারীর (কামারের) ন্যায়। মিশক বিক্রেতা হয়ত তোমাকে কিছু দিবে। (সুগন্ধি নেয়ার জন্যে হাতে কিছুটা লাগিয়ে দিবে) অথবা তুমি তার কাছ হতে সামান্য ক্রয় করতে পারবে কিংবা তুমি তার থেকে সুঘ্রাণ লাভ করবে। আর অগ্নিচুলায় ফুৎকারকারী হয়ত তোমার কাপড়কে পুড়াবে কিংবা তুমি তার দুর্গন্ধপ্রাপ্ত হবে।(সহীহ মুসলিম-৬৫৮৬) 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্ণনা মোতাবেক তার চরিত্রগুলো যদি এমনই হয়, তাহলে আপনার/আপনাদের উচিৎ ছিলো, প্রথমে তাকে হেদায়তে নিয়ে আসার চেষ্টা করা, তার ভুলগুলোকে মহব্বতের দৃষ্টি দেখে আন্তরিকতার সাথে সংশোধনের চেষ্টা করা। যেহেতু সে আপনাদের নামে প্রথমে গীবত বা অভিযোগ করেছে, যার ফলশ্রুতিতে আপনারা এড়িয়ে চলার কারণগুলোকে বর্ণনা করতে গিয়ে ঐ কথাগুলো লিখেছিলেন। তাই আপনাদের কোনো গোনাহ হবে না,আপনাদের উপর বদদু'আ পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...