আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতু

আমার বয়স ২৫, অবিবাহিত। অনেক বছর ধরে বিয়ের চেষ্টা করছি। বর্তমানে একটা প্রস্তাব আসছে ছেলের পরিবার তাবলীগি পরিবার(মুফতি যুবায়ের সাহেবের গ্রুপে)।উনার বাবাও তাবলীগের সাথে জড়িত ছিলেন , একবছর হয়েছে উনি মারা গিয়েছেন।  উনার মা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা,বোন সহশিক্ষায় আছে (মেডিকেলে)। ছেলে নন-ক্যাডারে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত।ছেলে দ্বীনদার ও পর্দাওয়ালা বলছে, তাবলীগে উনি নিজ এলাকার তাবলীগের আমির হয়েছিলেন।এ প্রস্তাবে আগাতে আমি কিছু সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি।

১/আমার চাকরি করার কোনো ইচ্ছা নেই। আল্লাহর কাছে দোআ করি যেন এমন পরিস্থিতি কখনো না আসে,আমাকে ঘর থেকে বের হতে হয়।তাই আমার চাকরিজীবি শাশ্বুড়ি পছন্দ না।দ্বীনদার বা আমাকে দ্বীনের ব্যাপারে সাপোর্ট করবে এমন গৃহীণি শাশ্বুড়ি পছন্দ।তাবলীগি ফ্যামিলি হওয়ার পরও চাকরি করছে

২/ দ্বিতীয় কারণ হল প্রাইমারি স্কুলে বেশিভাগ মেয়ে শিক্ষিকা থাকে।সেখানে একজন দ্বীনদার পুরুষের জন্য চাকরি করা অনেক ফেতনা,পর্দার খেলাফের সম্ভাবনা অধিক।  উনি প্রধান শিক্ষক,তার দায়িত্ব তো বেশি।সব শিক্ষকদের সাথে উনার প্রতিনিয়ত উঠাবসা আর যোগাযোগ করতে হবে। সহকারী শিক্ষক হলে এতটা সমস্যা ছিলনা।

৩/ ৩য় কারণ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে এমন অনেক প্রোগাম করতে হবে যেগুলো ইসলামী শরীয়াহ পরীপন্থী যেমন: নাচ-গান, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া,নীরবতা পালন,সরকারি দিবস যেগুলো শিরকের পর্যায়ে যায়। বর্তমান পাঠ্যপুস্তক তো পরিপূর্ণ পশ্চিমা সংস্কৃতির শিক্ষা।যেখানে নিজের বাচ্চাদের এসব শিক্ষা দিবোনা, সেখানে অন্য বাচ্চাদের কিভাবে এগুলো শিখাবে।এসব কারণে কি উনার আমলে গুনাহ লেখা হবে?? একজন দ্বীনাদর মানুষের দ্বীন ও ঈমানের সাথে এগুলো যায়?

৪/ স্কুল কমিউনিটি,উপরোস্থ কর্মকর্তা দ্বীনের বুঝওয়ালা না হলে কিভাবে সৎ থাকবে।এমন একটা জায়াগায় নিজের দ্বীন রক্ষা করে চলতে পারবে।হালাল উপার্জন হলেও নিজের জীবনসঙ্গীকে এমন একটা ফেতনার পরিবেশে দেখা কষ্টকর। এমন পরিবেশে থাকতে থাকতে যদি নিজের দ্বীন, তাকওয়া, পর্দা হারিয়ে ফেলে,এই ভয় লাগছে।

এইসব চিন্তা-ভাবনার কারণে আমার এই প্রস্তাবে আগাতে সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে গেছি।আমার বয়স বাড়ছে,আমি দ্বীন পালন আর পর্দা করতে পারবো,হালাল উপার্জন এই হিসেবে প্রস্তাবে রাজি হওয়া উচিত? পরিবার থেকে দুনিয়াবি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দ্বীনি কমতিগুলোকে ছাড় দিতে বলে। উস্তাজ আমাকে একটা উত্তম পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করলে মুনাসিব হয়।

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেই পাত্র সম্পূর্ণ ভাবে দ্বীন মেনে চলে, এবং যেই পাত্রর পরিবার সম্পূর্ণ ভাবে দ্বীনকে মেনে চলার চেষ্টা করে, এমন পাত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াই উচিৎ।  তবে প্রশ্নে বর্ণিত পাত্রর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া নাজায়েয হবে না। পাত্র যদি আপনাকে হালাল হারাম মেনে চলার সুযোগ দেয়, এবং পর্দার অন্তরালে রাখবে বলে ওয়াদা করে, তাহলে আপনি এই পাত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। হ্যা, আপনারা কিছু সময় নিয়ে অপেক্ষা করুন আর আল্লাহর কাছে দু'আ করুন, এবং ইস্তেখারার মাধ্যমে নিজের গন্তব্যকে স্থির করুন। আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথ অনুসরণের তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...