আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in সালাত(Prayer) by (13 points)
১১ রমায‌া‌নের দিবাগত রাতে দ্রুত বি‌য়ের জন‌্য এক‌টি পরী‌ক্ষিত আমল

এটি এক‌টি পরী‌ক্ষিত আমল। বহু বছর থে‌কে এ আমল‌টি জা‌মেয়া দারুল উলূম কার‌চি'র সা‌বেক শাইখুল হাদীস ও সদর মুফতী রফী উসমানী রহ. এর পক্ষ হ‌তে প্রচা‌রিত। আরও অ‌নেক বুযুর্গদের এটি মুজাররাব। অগ‌ণিত মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হ‌য়ে‌ছেন। যেসব অ‌ভিভাবক অ‌বিবা‌হিত ছে‌লে মে‌য়ে‌দের বিবাহ নি‌য়ে দু‌শ্চিন্তায় আছেন, তারা আমল‌টি কর‌তে পা‌রেন। বিবাহ উপযুক্ত ছে‌লে মে‌য়েরাও নি‌জে‌দের জন‌্য এটি কর‌তে পা‌রেন। শরীয়তের বিধান তথা ফরজ ওয়া‌জিব সুন্নাত ম‌নে না ক‌রে স্রেফ বুুযুর্গদের মুজাররাব আমল হিসা‌বে কর‌তে কো‌নো অসু‌বিধা নেই। ইনশাআল্লাহ, দ্রুত সুফল লাভ কর‌বেন।
এ আমল‌টি ১১ রমযান দিবাগত রাত অর্থাৎ ১২ তা‌রি‌খের রা‌তে তারাবী‌হের প‌রে অথবা শেষরা‌তে তাহাজ্জু‌দের সময় কর‌তে হ‌বে ইন শা আল্লহ।

আম‌লের নিয়ম :
১] প্রথ‌মে ১০১বার দরূদ শরীফ পড়‌বে।
২] এরপর ১২রাকাআত নফল নামায পড়‌বে, দুই দুই রাকাআত ক‌রে। প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফা‌তেহার পর ১২বার সুরা ফীল পড়‌বে।
৩] নামায শে‌ষে পুনরায় ১০১বার দরূ‌দে ইবরাহীমী পড়‌বে।
৪] এরপর নবী‌জির (সা.) এর প্রতি আম‌লটির ঈসা‌লে সওয়াব কর‌বে।
৫] বি‌য়ের জন‌্য কিছুক্ষণ দুআ ক‌রার পর কো‌নো কথাবার্তা না ব‌লে ঘু‌মি‌য়ে পড়‌বে।

নোট : দারুল উলূম করা‌চির দারুত তাসনী‌ফের সদস‌্য মাওলানা মাহমূদ হাসান হা‌ফি. এর মাধ‌্যমে আম‌লটির সনদ নি‌শ্চিত করা হ‌য়ে‌ছে।
- মুফতি মুহাম্মাদ সাইফুদ্দীন গাজী
১০ রমাযান, ১৪৪৪‌ হিজরী

(নির্ভরযোগ্য, যাদের জরুরত আছে করতে পারেন ইনশাআল্লাহ)


উক্ত আমলটি করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (680,320 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِيْ صَعْصَعَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَجُلًا سَمِعَ رَجُلًا يَقْرَأُ (قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ) يُرَدِّدُهَا فَلَمَّا أَصْبَحَ جَاءَ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ وَكَأَنَّ الرَّجُلَ يَتَقَالُّهَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ إِنَّهَا لَتَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তিকে ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ পড়তে শুনলেন। সে বার বার তা মুখে উচ্চারণ করছিল। পরদিন সকালে তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে এ ব্যাপারে বললেন। যেন ঐ ব্যক্তি তাকে কম মনে করলেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার জীবন। এ সূরাহ হচ্ছে সমগ্র কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান। [বুখারী শরীফ ৫০১৩.৬৬৪৩, ৭৩৭৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪৫)

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَجُلاً، سَمِعَ رَجُلاً، يَقْرَأُ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ) يُرَدِّدُهَا فَلَمَّا أَصْبَحَ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ وَكَأَنَّ الرَّجُلَ يَتَقَالُّهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّهَا لَتَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ ". وَزَادَ أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَخِي، قَتَادَةُ بْنُ النُّعْمَانِ أَنَّ رَجُلاً، قَامَ فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ مِنَ السَّحَرِ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ) لاَ يَزِيدُ عَلَيْهَا، فَلَمَّا أَصْبَحْنَا أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ.

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যাক্তি অন্য আরেক ব্যাক্তিকে ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ পড়তে শুনলেন। সে বার বার তা মুখে উচ্চারন করছিল। (তিনি মনে করলেন এভাবে বারাবার পাঠ করা যথেষ্ট নয়) পরদিন সকালে তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে এ সম্পর্কে বললেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন। এ সূরা হচ্ছে সমগ্র কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বললেনঃ আমার ভাই- কাতাদা ইবনু নুমান আমাকে বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় এক ব্যাক্তি শেষ রাতে সালাতে শুধুমাত্র “কুল হুআল্লাহু আহাদ” ছাড়া আর কোনো সূরাই তিলাওয়াত করেন নি। পরদিন সকালে কোন এক ব্যাক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাছে আসলেন। বাকী অংশ পূর্বের হাদীসের অনুরূপ।
(বুখারী ৪৬৪৫)

فتاوی ہندیہ :
"ويكره تكرار السورة في ركعة واحدة في الفرائض ولا بأس بذلك في التطوع كذا في فتاوى قاضي خان وإذا كرر آية واحدة مرارا فإن كان في التطوع الذي يصلي وحده فذلك غير مكروه وإن كان في الصلاة المفروضة فهو مكروه في حالة الاختيار وأما في حالة العذر والنسيان فلا بأس. هكذا في المحيط."
( كتاب الصلاة، الباب السابع فيما يفسد الصلاة وما يكره فيها، الفصل الثاني فيما يكره في الصلاة وما لا يكره، ١ / ١٠٧، ط: دار الفكر)
সারমর্মঃ-
ফরজ নামাজের একই রাকাতে একই সুরা বারবার পড়া মাকরুহ,তবে নফল নামাজে এটি মাকরুহ নয়।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উক্ত আমলটি বুযুর্গানে দ্বীনের বলে দেয়া আমল।  সুন্নাত ও আবশ্যকীয় মনে না করে ও দিন তারিখ নির্দিষ্ট না করে এই আমল করার অবকাশ আছে,সেক্ষেত্রে এটি বিদআত হবেনা।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (14 points)
উস্তায বিভিন্ন জায়গায় সুরা ফীল পড়তে বলা হয়েছে দেখলাম, আপনি যেহেতু সুরা ইখলাসের ফজিলত বর্ণনা করেছেন সেহেতু ইখলাসও পড়া যাবে? 
by (680,320 points)
জ্বী,পড়া যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...