ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুসলিম দেশের হোটেল-রেস্তোরাঁ গুলোতে গোশত খাওয়া জায়েয রয়েছে।এক্ষেত্রে সন্দেহ প্রবণতা পরিহার করা উচিত।মুসলমানকে এবং মুসলিম সমাজের মানুষকে বিশ্বাস করাই স্বাভাবিকতা। অবশ্য কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই এসব থেকে দূরে থাকতে হবে।
অন্যদিকে অমুসলিম রেস্তোরাঁ থেকে গোস্ত ভক্ষণ করতে হলে মালিককে জিজ্ঞাসা করতে হবে।সে যদি বলে ইসলামি ত্বরিকায় হালালভাবে যবেহ করা হয় নাই,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত গোশতকে ভক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু যদি সে বলে যে, এটাকে হালাল ত্বরিকায় যবেহ করা হয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় করণীয় কি?
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রাণ এর টেস্টি ট্রিটে যে মাংশযুক্ত খাবার দেয়া হয়, সেগুলোর প্যাকেটে যদি হালাল লিখা বা হালাল স্টিকার দেয়া থাকে, তাহলে অবশ্যই তাদের কথার উপর বিশ্বাস রেখে সেটাকে ভক্ষণ করা জায়েয হবে। কিন্তু যদি মোড়কে হালাল লিখা বা স্টিকার দেয়া না থাকে, তাহলে তালাশি করে জেনে নিতে হবে যে, এগুলো হালাল ত্বরিকায় জবাই হয়েছে কি না? যদি তালাশি করা সম্ভব না হয়, তাহলে পরিত্যাগ করাই শ্রেয় হবে।
আপনি সতর্কতামূলক ফেলে দিয়েছেন, বিধায় আপনার গোনাহ হবে না।