আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।আমার নতুন বিবাহ হয়েছে।আমার স্বামী ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব চলার চেস্টা করে।সব আলহামদুলিল্লাহ ঠিক আছে।তবে আমাদের বাড়ি থেকে কিছু দেওয়া নিয়ে সব সমস্যা।উনি বলে দিয়েছে তোমাদের বাড়ি থেকে যদি কিছু দাও তাহলে এনাফ পরিমানে দিবা আর নাহলে দেওয়ার দরকার নাই।আবার কিছু না দিলে শাশুড়ি ইনডায়রিক্লি কথা শুনায়,অমুকের শশুর বাড়ি থেকে এটা দিচে ওটা দিছে ইত্যাদি।রোজায় আামার বাবা ইফতারি পাঠাইচে সব কিছু ৫ কেজি করে।।কিন্তু এতে তারা খুশি না।আমার বাবা এতো কম ইফতারি পাঠানোর কারনে নাকি তাদের মানসম্মান চলে গেছে।তাড়া আত্মীয় স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশি কে বলতে পারছে না গর্ব করে।এত কম ইফতারি দেওয়ার কারনে সবাই কে দিতে পারছে না ছেলের শশুর বাড়ির ইফতারি।আমার স্বমী আমাকে বলছে আমার বাবা কৃপন আর কৃপন কে আল্লাহ পছন্দ করে না।আমার বাবা কম ইফতারি দিয়ে আমার মুখ ছোট করছে তাই আমাকে বলে যে যারা তোমার মান সম্মানের কথা চিন্তা করে নাই তাদের বাড়ি তে তোমার যাওয়ার দরকার নেই।এখন আমার কি করা উচিত?আমার স্বমীকেই বা কিভাবে বুজাবো?আমি যদি আমার বাবা কে বলি আমার শশুর বাড়ি তে কিছু দিলে বেশি করে দিতে তাহলে কি আমার বা আমার স্বামীর গনাহ হবে?এটা কি জায়েয হবে??

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার বাবা যা খুশী হয়ে দিবেন, এটাই আপনার স্বামী এবং শাশুড়ীর জন্য হালাল হবে। এর অতিরিক্ত কিছু চাওয়া জায়েয হবে না এবং চাপে পড়ে দিলে সেটা তাদের জন্য হালালও হবে না । আপনার স্বামীর বাড়ীর লোকজনের যদি ইজ্জত সম্মানে আগাত লাগার ভয় হয়, তাহলে তারা নিজের পক্ষ্য থেকে কিছু ক্রয় করে লোকজনকে দেখাতে পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...