ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কুরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে—
ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻋِﻨﺪَﻩُ ۥ ﻋِﻠۡﻢُ ﭐﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻭَﻳُﻨَﺰِّﻝُ ﭐﻟۡﻐَﻴۡﺚَ ﻭَﻳَﻌۡﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻰ ﭐﻟۡﺄَﺭۡﺣَﺎﻡِۖ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪۡﺭِﻯ ﻧَﻔۡﺲٌ۬ ﻣَّﺎﺫَﺍ ﺗَڪۡﺴِﺐُ ﻏَﺪً۬ﺍۖ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪۡﺭِﻯ ﻧَﻔۡﺲُۢ ﺑِﺄَﻯِّ ﺃَﺭۡﺽٍ۬ ﺗَﻤُﻮﺕُۚ ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ﺧَﺒِﻴﺮُۢ
অর্থঃ "নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছেই কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং মাতৃগর্ভে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে, এবং কেউ জানে না কোন স্থানে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।"(সূরা লুকমান-৩১-৩৪)
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ : ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﻔَﺎﺗِﺢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﺧَﻤْﺲٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬَﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﻏَﺪٍ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺗَﻐِﻴﺾُ ﺍﻟْﺄَﺭْﺣَﺎﻡُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺘَﻰ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟْﻤَﻄَﺮُ ﺃَﺣَﺪٌ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻧَﻔْﺲٌ ﺑِﺄَﻱِّ ﺃَﺭْﺽٍ ﺗَﻤُﻮﺕُ ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺘَﻰ ﺗَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ
রাসুলুল্লাহ (ﷺ ) বলেছেনঃ “গায়েবের কুঞ্জি হল পাঁচটি, যা আল্লাহ ব্যতিত কেউ জানে না। আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে আগামীকাল কী ঘটবে।আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে মায়ের গর্ভে কী আছে।আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে, কখন বৃষ্টি হবে।।আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে, সে কোথায় মারা যাবেআল্লাহ কেউ জানে না যে,ক্বিয়ামত কখন সংগঠিত হবে।”(সহীহ বুখারী-৪৩২৮)
এমন গল্প, যেখানে সামাজিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, সমাজের হতদরিদ্র মানুষের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে বা বিজ্ঞানের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে বা বর্তমান প্রাণিজগৎ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে, তাহলে সেগুলো পড়লে মানুষের জ্ঞান সমৃদ্ধ হয় এবং মানুষের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এগুলো জ্ঞানের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এ জন্য এ ক্ষেত্রে সেগুলো জায়েজ। কারণ, নিষিদ্ধ বা হারাম কাজ সেখানে নেই।
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীরী ভাই/বোন!
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েব জানেনা।এমন প্রকারের আকিদা বিশুদ্ধ রেখে আপনি বিজ্ঞানের সম্ভাবনাময় হালাল ও জায়েয কল্পকাহিনী পড়তে পারবেন।তবে বিষয় হারাম রিলেটিভ হলে আবার জায়েয হবে না।