আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (26 points)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম, যদি কোনো একটা উপন্যাস থাকে, যেখানে ধরুন কাহিনী ঘটছে ২০৩৩ সালে, কিন্তু উপন্যাসিক এটা দাবি করে না যে উপন্যাসটি সত্য এবং এটাও দাবি করে না যে সে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানে , এবং বলে এটা শুধু একটি কাল্পনিক গল্প, এমন উপন্যাস পড়া কি শিরক হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কুরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে—
ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻋِﻨﺪَﻩُ ۥ ﻋِﻠۡﻢُ ﭐﻟﺴَّﺎﻋَﺔِ ﻭَﻳُﻨَﺰِّﻝُ ﭐﻟۡﻐَﻴۡﺚَ ﻭَﻳَﻌۡﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻰ ﭐﻟۡﺄَﺭۡﺣَﺎﻡِۖ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪۡﺭِﻯ ﻧَﻔۡﺲٌ۬ ﻣَّﺎﺫَﺍ ﺗَڪۡﺴِﺐُ ﻏَﺪً۬ﺍۖ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﺪۡﺭِﻯ ﻧَﻔۡﺲُۢ ﺑِﺄَﻯِّ ﺃَﺭۡﺽٍ۬ ﺗَﻤُﻮﺕُۚ ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ﺧَﺒِﻴﺮُۢ
অর্থঃ "নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছেই কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং মাতৃগর্ভে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে, এবং কেউ জানে না কোন স্থানে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।"(সূরা লুকমান-৩১-৩৪)

হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ : ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﻔَﺎﺗِﺢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﺧَﻤْﺲٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬَﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﻏَﺪٍ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺗَﻐِﻴﺾُ ﺍﻟْﺄَﺭْﺣَﺎﻡُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺘَﻰ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟْﻤَﻄَﺮُ ﺃَﺣَﺪٌ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺪْﺭِﻱ ﻧَﻔْﺲٌ ﺑِﺄَﻱِّ ﺃَﺭْﺽٍ ﺗَﻤُﻮﺕُ ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺘَﻰ ﺗَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ 
রাসুলুল্লাহ (ﷺ ) বলেছেনঃ “গায়েবের কুঞ্জি হল পাঁচটি, যা আল্লাহ ব্যতিত কেউ জানে না। আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে আগামীকাল কী ঘটবে।আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে মায়ের গর্ভে কী আছে।আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে, কখন বৃষ্টি হবে।।আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না যে, সে কোথায় মারা যাবেআল্লাহ কেউ জানে না যে,ক্বিয়ামত কখন সংগঠিত হবে।”(সহীহ বুখারী-৪৩২৮)

এমন গল্প, যেখানে সামাজিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, সমাজের হতদরিদ্র মানুষের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে বা বিজ্ঞানের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে বা বর্তমান প্রাণিজগৎ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে, তাহলে সেগুলো পড়লে মানুষের জ্ঞান সমৃদ্ধ হয় এবং মানুষের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এগুলো জ্ঞানের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এ জন্য এ ক্ষেত্রে সেগুলো জায়েজ। কারণ, নিষিদ্ধ বা হারাম কাজ সেখানে নেই।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/8981

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীরী ভাই/বোন!
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েব জানেনা।এমন প্রকারের আকিদা বিশুদ্ধ রেখে আপনি বিজ্ঞানের সম্ভাবনাময় হালাল ও জায়েয কল্পকাহিনী পড়তে পারবেন।তবে বিষয় হারাম রিলেটিভ হলে আবার জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...