ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রথম কথা হল,মদিনাবাসী অতীত থেকেই মালিকী মাযহাবের অনুসারী। কেননা ইমাম মালিক রাহ মদিনার অধিবাসী ছিলেন।
বর্তমানে কেউ আহলে হাদীস আবার কেউ মালিকী।
অাহলে হাদীসরা নজদের অনুসরণ করে থাকেন।কেননা আহলে হাদীসের প্রতিষ্টাতা মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব নজদির বাড়ী নজদে ছিলো।যে নজদ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ বরকতের দু'আ করেননি।উল্টো ইয়ামনের জন্য করেছেন।
একটি হাদীসও এমন নেই যে,মাস'আলা মাসাঈল নিয়ে মদিনার অনুসরণ করতে হবে।যদি থাকত,তাহলে সাহাবাযুগে মাসাঈল নিয়ে ইখতেলাফ হতো না।বরং যে সমস্ত সাহাবা মদিনাতে থাকতেন,বাদবাকী সাহাবাগণ তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতেন।ইখতেলাফ হতো না।
(২)
ভুমি অফিসের কাজ হল,বাংলাদেশের ভুমি সংরক্ষণ করা।
(৩)
ভুমি অফিসে চাকুরী জায়েয।তবে হারাম তথা ঘুষে জড়িত হওয়া যাবে না।ট্যাক্স বা কর নেওয়া জায়েয।
حَتَّى إِذَا بَلَغَ بَيْنَ السَّدَّيْنِ وَجَدَ مِن دُونِهِمَا قَوْمًا لَّا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ قَوْلًا★قَالُوا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِنَّ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ فَهَلْ نَجْعَلُ لَكَ خَرْجًا عَلَى أَن تَجْعَلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ سَدًّا★قَالَ مَا مَكَّنِّي فِيهِ رَبِّي خَيْرٌ فَأَعِينُونِي بِقُوَّةٍ أَجْعَلْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ رَدْمًا★
তরজমাঃ-
অবশেষে যখন তিনি দুই পর্বত প্রচীরের মধ্যস্থলে পৌছলেন, তখন তিনি সেখানে এক জাতিকে পেলেন, যারা তাঁর কথা একেবারেই বুঝতে পারছিল না।
তারা বললঃ হে যুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার জন্যে কিছু "কর'' ধার্য করব এই শর্তে যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন।
তিনি বললেনঃ আমার পালনকর্তা আমাকে যে সামর্থ দিয়েছেন, তাই যথেষ্ট। অতএব, তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য কর। আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে একটি সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মাণ করে দেব।
সূরা ক্বাহাফ;৯৩-৯৫
"বাদশা তাদের মনোবাঞ্ছা কে অবৈধ আখ্যা দেননি।বরং তিনি বললেন,আপাতত তোমাদের থেকে সম্পদ নেয়ার কোনো প্রয়োজন আমার নেই।আল্লাহ আমাকে যে সম্পদ দিয়েছেন, তাই আমার জন্য যথেষ্ট। তবে এখন আমার শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে,তাই তোমরা শ্রমিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হও।
উল্লেখ্য যে,
যুলকারনাইন ছিলেন একজন ন্যায়পরায়ণ বাদশা।যাকে আল্লাহ তা'আলা অনেক অনেক ক্ষমতা দিয়েছিলেন।
উপরোক্ত আয়াতে خرجاً শব্দ দ্বারা প্রতিরক্ষা খরছ হিসেবে সরকারী খাযানায় মাল প্রদাণের কথা ই প্রজারা ব্যক্ত করেছে।
ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি বলেন,
عن ابن عباس : أجرا عظيما ، يعني أنهم أرادوا أن يجمعوا له من بينهم مالا يعطونه إياه ، حتى يجعل بينهم وبينهم سدا
আয়াতে خرجاً দ্বারা উদ্দেশ্য হলঃ বড় প্রতিদান।
তথা তারা যুলকারনাইন কে উপহার দেয়ার জন্য পরস্পর মাল জমা করার ইচ্ছা পোষন করেছিল।যাতে করে যুলকারনাইন তাদের জন্য ইয়াজুজ-মাজুজ থেকে প্রতিরক্ষা বাধ নির্মাণ করে দেন।
জানাকথা যে,
পূর্ববর্তী শরীয়তের কোনো আলোচনা নিষেধাজ্ঞা ব্যতীত শরীয়তের কোথাও আলোচিত হলে সেটা আমাদের জন্যও পালনীয় বিধান।
(৪)
ভুমি অফিসে পিয়ন হিসেবে চাকুরী করা যাবে।
(৫)জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক হিসেবে চাকুরী করা যাবে।