ওয়া অালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
চার মাযহাব সম্পর্কিত সর্ববৃহৎ ফাতাওয়া গ্রন্থ,আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যায় বর্ণিত রয়েছে,
وَلَوْ حَدَّثَ نَفْسَهُ أَنَّهُ يُطَلِّقُ زَوْجَتَهُ، أَوْ يُنْذِرُ لِلَّهِ تَعَالَى شَيْئًا، وَلَمْ يَنْطِقْ بِذَلِكَ، لَمْ يَقَعْ طَلاَقُهُ، وَلَمْ يَصِحَّ نَذْرُهُ لِقَوْل النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لأُِمَّتِي عَمَّا وَسْوَسَتْ - أَوْ حَدَّثَتْ - بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَل بِهِ أَوْ تَكَلَّمْ. وَقَال قَتَادَةُ بَعْدَ أَنْ رَوَى الْحَدِيثَ: إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِهِ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ. وَقَال عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ: لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوَسِ. وَعَلَّقَ ابْنُ حَجَرٍ عَلَى هَذَا الْقَوْل شَارِحًا لَهُ: أَيْ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ؛ لأَِنَّ الْوَسْوَسَةَ حَدِيثُ النَّفْسِ، وَلاَ مُؤَاخَذَةَ بِمَا يَقَعُ فِي النَّفْسِ
যদি কেউ মনে মনে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়, বা মনে মনে কোনো নযর করে,এবং এ নিয়ে কোনো কথা মুখ দ্বারা উচ্ছারণ না করে,তাহলে তালাক সাব্যস্ত হবে না।তার নযরও বিশুদ্ধ হবে না।যেমন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের ওয়াসওয়াসাকে ক্ষমা করে দেবেন,এবং মনের কথাকেও ক্ষমা করে দেবেন,যতক্ষণ না আমলে পরিণত করছে বা মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করে বলছে।কাতাদাহ রাহ উক্ত হাদীসকে বর্ণনার পর বলেন,মনে মনে তালাক দিলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।উকবাহ ইবনে আমির রাহ মনে করেন,ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত লোকের তালাক পতিত হবে না।ইবনে হাজর রাহ উক্ত কথার ব্যখ্যা করে আরেকটু বাড়িয়ে বলেন,তালাক পতিত হবে না।কেননা ওয়াসওয়াসা হল,মনের কথা।আর মনের কথা দ্বারা তালাক পতিত হয় না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাহ-৪৩/১৪৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
মনে মনে তালাকের অধীকার দিলে,স্ত্রী তালাকের মালিক হবে না।
(২)
স্বামী যদি তাফবীযে তালাক তথা তালাকের অধীকার স্ত্রীকে দিয়েছিলো কি না? সেটা মনে করতে না পারে,তাহলে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হবে,স্ত্রী হ্যা বললে তাকে দলীল প্রমাণ পেশ করতে বলা হবে,যদি স্ত্রী দলীল প্রমাণ পেশ করতে না পারে,তাহলে তাকে আল্লাহর নামে কসম করতে বলা হবে,যদি স্ত্রী কসম করে নেয়,তাহলে ধরে নেয়া হবে,স্বামী তালাকের অধীকার স্ত্রীকে দিয়েছিলো।এবং স্ত্রী যদি নিজের উপর তালাককে পতিত করে,তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।