আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম 

 

হুজুররা যে তাবিজটা দেন সেই দু'আ লিখা থাকে সেটা তোহ সাধারণত একটা শক্ত স্টিলের মতো একটা জিনিসে মোম দিয়ে আটকিয়ে দেওয়া থাকে।। আল্লাহ ওপর বিশ্বাস নিয়ে দো'আ ঝাড়ফুক তাবিজ পড়া যাবে বলা হয়েছে।

 

তাহলে যে তাবিজটা ব্যবহার করা যাবে সেটা তোহ আল্লাহ কালাম থাকে তাহলে ওয়াশরুম যাওয়া  হয় বা মেয়েদের হায়েজ হলে নাপাক থাকে,সহবাস সময় ও তাবিজ তোহ শরীরে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে তাবিজ পড়া বা ব্যবহার করা কি গুন্নাহ হবে??করণীয় কি সেক্ষেএে??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، وَالْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ نَزَعَ خَاتَمَهُ .

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সৌচাগারে যেতেন তখন তাঁর আংটি খুলে রাখতেন।

ইবনু মাজাহ ৩০৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৭৪৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(عن أنس رضي الله عنه قال: كان النبي صلي الله عليه وسلم ) : شرح الحديث من المرقات: (عن أنس قال: كان النبي صلي الله عليه وسلم ) (إذا دخل الخلاء) : أي: أراد دخوله (نزع) : أي: أخرج من أصبعه (خاتمه) : بفتح التاء، وقيل بكسرها لأن نقشه، محمد رسول الله صلي الله عليه وسلم ، وفيه دليل على وجوب تنحية المستنجي اسم الله واسم رسوله والقرآن كذا قاله الطيبي. قال الأبهري: ويعم الرسل. وقال ابن حجر: استفيد منه أنه يندب لمريد التبرز أن ينحي كل ما عليه معظم من اسم الله تعالى أو نبي أو ملك فإن خالف كره اهـ. وهو الموافق لمذهبنا (رواه أبو داود، والنسائي، والترمذي، وقال: هذا حديث حسن صحيح غريب)

সারমর্মঃ
আল্লাহ অথবা রাসুল সাঃ এর নাম,কুরআন সম্বলিত কোনো কিছু নিয়ে টয়লেট যাওয়া যাবেনা।
বাহিরে রেখে আসতে হবে।
অন্যথায় এর খেলাফ করলে মাকরূহ হবে।       
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত তাবিজ নিয়ে বাথরুমে যাওয়া জায়েজ হবেনা।
খুলে রেখে যেতে হবে।

কখনো মাটিতে বা নাপাক কোনো স্থানে যেনো না থাকে,নাপাকর যেনো স্পর্শ না লাগে,সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। 

হায়েজ,সহবাস অবস্থায় সেই তাবিজ পরিহিত অবস্থায় থাকলে সমস্যা নেই।

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...