আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ উস্তায।

১ একজন ব্যক্তি ব্যবসাগত কারণে বন্দুকের লাইসেন্স করতে চান,যাতে বড় বড় চাঁদাবাজরা ঝামেলা করতে না পারে,,

কিছু কারণে তার লাইফ রিস্কে আছে।বন্দুক ব্যবহার করবেন না এ নিয়্যাত আছে। তার এ কাজটি  ইসলামের দৃষ্টিতে আপনারা কিভাবে দেখেন?

একটু দ্রুত উত্তর দিয়েন উস্তায মিন ফাদ্বলিক

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

ইসলামী রাস্ট্রের হেফাজতের দায়িত্ব প্রত্যেক মুসলমানে  উপর ফরয। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর সময়ে রাস্ট্র হেফাজতের দায়িত্ব জনগণের উপর ন্যস্ত ছিলো। তখনকার প্রত্যেক নাগরিক একেকজন সেনা ছিলো। কিন্তু আজকাল সেনাবাহিনী পৃথক একটি দল থাকে। যাদের দায়িত্ব দেশের হেফাজত। তাছাড়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে, জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সুতরাং এখনকার সময়ে হাতিয়ার নিজ সংরক্ষণে রাখা ফরয বা ফরযে কেফায়া নয় বরং প্রয়োজনে জায়েয বলা যেতে পারে। তবে জনসাধারণের জন্য অনুচিত। কেননা এতে অন্যায়ভাবে হাতিয়ার ব্যবহারের সম্ভাবনা থাকবে।

بذل المجہود  فی حل سنن ٲبی داود میں ہے:
"قال في "التفسير الكبير": والمراد بالقوة ها هنا ما يكون سببا لحصول القوة، وذكروا فيه وجوها: الأول: المراد من القوة أنواع الأسلحة، والثاني: أن القوة الرمي، قالها - صلى الله عليه وسلم - ثلاثا على المنبر، الثالث: القوة هي الحصون، الرابع: قال أصحاب المعاني: الأولى أن يقال: هذا عام في كل ما يتقوى به على حرب العدو، وكل ما هو آلة للغزو والجهاد فهو من جملة القوة، وقوله - عليه الصلاة والسلام -: "القوة هي الرمي"، لا ينفي كون غير الرمي معتبرا، كما أن قوله - عليه الصلاة والسلام -: "الحج عرفة" و "الندم توبة" لا ينفي اعتبار غيره، بل يدل على أن هذا المذكور جزء شريف من المقصود، فكذا ها هنا.
وهذه الآية تدل على أن الاستعداد للجهاد بالنبل والسلاح وتعليم الفروسية والرمي فريضة، إلا أنه من فروض الكفايات".
(بذل المجهود شرح سنن أبي داود: باب في الرمي (9/ 70)، ط. مركز الشيخ أبي الحسن الندوي للبحوث والدراسات الإسلامية، الهند، الطبعةالأولى:1427هـ =2006 م)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো ব্যক্তি যদি ব্যবসাগত কারণে বন্দুকের লাইসেন্স করতে চান,যাতে বড় বড় চাঁদাবাজরা ঝামেলা করতে না পারে,তাহলে তার এ কাজটি  ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েয হবে না। সরকারি যথারীতি অনুমোদন গ্রহণ করে উনি লাইসেন্স নিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...