আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

প্রশ্নটি আমার এক বন্ধুর পক্ষ থেকে। সে অনুরোধ করেছে, এই প্রশ্নের উত্তর জেনে তাকে জানাতে। বিব্রত হওয়ার আশংকায় কোনো আলেম এর কাছ থেকে জেনে নিতেও চাচ্ছে না।

তার বয়স ৪০ এর আশেপাশে। কোনো এক ইসলামিক সম্মেলন- তার বিয়ে হয়েছিল ৮ বছর আগে। তাদের একটি নাবালেগ ছেলে আছে।

বিয়ের পর কোনো ধরণের কাবিননামা বা সরকারি রেজিস্ট্রেশন টাইপ কিছুই করে নি, কোনো পক্ষই। অলসতা বলতে পারেন, বা কখনো প্রয়োজন পড়ে নি, এই কারণে। অবশ্যই এইটার জন্য এখন অনুতপ্ত, করলেই ভালো হতো মনে হয়, সরকারি বিভিন্ন কাজে কাবিন-নামার দরকার হয়, এখন বুঝতে পারছে।

সে তার বিবি-কে তালাক দিতে চাচ্ছে। এখন যেহেতু তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো সরকারি নথিভুক্তি নেই, কাবিননামা নেই, এই ক্ষেত্রে করণীয় কি ?

নিজেদের পরিবার এর মুরুব্বীদের স্বাক্ষী রেখেই কি সম্পর্ক থেকে সরে আসবে ? ইসলামিক বিধান অনুযায়ী যেইভাবে তালাক প্রদানের নিয়ম আছে, সেইটা মেনে ?

নাকি আগে কাবিননামা করে নিবে, তারপর সরকারিভাবে পদক্ষেপ নিবে ?

কাবিন-নামা বানানো ছাড়াই যদি সম্পর্ক থেকে সরে আসে, পরবর্তীতে কি কোনো ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে ? কোনো ধরণের হেনস্থা- আশংকা আছে কি না এই ক্ষেত্রে ?

যদি, কাবিন-নামা বানাতেই হয়, সেই ক্ষেত্রে এতো বছর পর কিভাবে কি করবে ? !

তালাক এর নোটিশ পাঠানোর সরকারি কোনো শক্ত নিয়ম আছে কি না ?

অনেকেই বললো - সিটি কর্পোরেশন এর মাধ্যমে নোটিশ পাঠিয়ে মাস অপেক্ষা করতে হয়।

আবার, একজন বললেন - পোস্ট অফিসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি ডাকে তালাকনামা হাতে লিখেও মেয়ে- বাবার বাসার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলে হবে।  এই ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন এর মাধ্যমে নোটিশ পাঠানোর দরকার পড়বে না।

কাবিননামা করা না হলে মেয়ে ছেলে উভয়ের জন্যই কি ভবিষ্যতে তাদের ওয়ারিশ-নামা সংক্রান্ত কোনো কাগজ-পত্রে সমস্যা হবে ? অথবা অন্য কোনো সমস্যা ? স্বামী বা বিবির কোনো আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে কি না ?

একটু সঠিক পরামর্শ যদি দিতেন।

ব্যাপারটি আসলেই দুঃখজনক ! একান্তই অপারগ হয়ে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে।

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
শরীয়তের দৃষ্টিকোন হতে তালাকের জন্য নিকাহনামার কোনো আবশ্যকীয়তা নেই।

স্ত্রীকে মৌখিক/লিখিত তালাক দেয়া মাত্র তালাক পতিত হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে নিকাহনামারও আবশ্যকীয়তা নেই।
তালাকনামারও আবশ্যকীয়তা নেই।

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি চাইলে এখন কাজী অফিসে গিয়ে নিকাহনামা বানিয়ে ফেলতে পারেন।

কাবিননামা করা না হলে স্বামী স্ত্রী উভয়ের জন্যই ভবিষ্যতে তাদের ওয়ারিশ-নামা সংক্রান্ত কোনো কাগজ-পত্রে দেশীয় আইন অনুযায়ী কিছুটা সাময়ীক সমস্যা হতে পারে।

তবে শরীয়তের দৃষ্টিকোন হতে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...