আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (87 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অয়া বারকাতুহু।

১/

১২ রমাযনে দ্রুত বিয়ের জন্য এক;টি পরীক্ষিত আমল

এইটা একটা পরীক্ষিত আমল। বহু বছর থেকে এ আমলটি জামেয়া দারুল উলূম কারচি'র সাবেক শাইখুল হাদীস ও সদর মুফতী রফী উসমানী রহ. এর পক্ষ হতে প্রচারিত। আরও অনেক বুযুর্গদের এটি মুজাররাব। অগণিত মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন।

যেসব অভিভাবক অবিবাহিত ছেলে মেয়েদের বিবাহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন, তারা আমলটি করতে পারেন। বিবাহ উপযুক্ত ছেলে মেয়েরাও নিজেদের জন্য এটি করতে পারেন।
শরীয়তের বিধান তথা ফরজ ওয়াজিব সুন্নাত মনে না করে স্রেফ বুুযুর্গদের মুজাররাব আমল হিসাবে করতে কোনো অসবিধা নেই। ইন শা আল্লাহ, দ্রুত সুফল লাভ করবেন।
এই আমলটি রমাযানের ১২ তারিখের রাতে তারাবীহের পরে অথবা শেষরাতে তাহাজ্জুদের সময় করতে হবে।

আমলের নিয়মঃ-

১) প্রথমে ১০১ বার দরূদ শরীফ পড়বে।

২) এরপর ১২ রাকাআত নফল নামায পড়বে, দুই দুই রাকাআত করে। প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফাতেহার পর ১২ বার সুরা ফীল পড়বে।

৩) নামায শেষে পুনরায় ১০১ বার দরূদে ইবরাহীমী পড়বে।

৪) এরপর নবীজির (সা.) এর প্রতি আমলটির ঈসা‌লে সওয়াব করবে।

৫) বিয়ের জন্য কিছুক্ষণ দুআ করার পর কোনো কথাবার্তা না বলে ঘুমিয়ে পড়বে।

নোটঃ দারুল উলূম করাচির দারুত তাসনীফের সদস্য মাওলানা মাহমূদ হাসান হাফি. এর মাধ্যমে আমলটির সনদ নিশ্চিত করা হয়েছে।
- মুহাম্মাদ সাইফুদ্দীন গাজী

প্রশ্ন হচ্ছে এই আমল টি কি করা যাবে দ্রুত বিবাহের জন্য এবং এটি কি ফলদায়ক আমল? এক্ষেত্রে ইসালে সাওয়াব এর নিয়ম কি এবং তারাবীহ পড়ে এসে বাসায় ঘুমানো আগে করা যাবে? ১৩ রোজায়ি কি করতে হবে?

২/ সুরা আম্বিয়া এর ৮৯ আয়াত এর দুয়া কি দ্রুত বিবাহের আমল হিসেবে পরিগণিত? তা কি দ্রুত বিয়ে হবার উদ্দেশ্যে করা যাবে?

৩/ অনেক সময় দেখা যায় পাসের দুইজনের সাথে কাতার মিলানো সম্ভব হচ্ছে না। হালকা এদিকে সেদিক হচ্ছে। একজন একটু সামনে হলে আরেকজন পিছে। এক্ষেত্রে কি করনীয়? সালাত কি হবে আদায়?

৪/ অনেক সময় কাতারে ফাক থেকে যায় বেশ। সেক্ষেত্রে দেখা যায় দুই পাসেই গ্যাপ সৃষ্টি হয়ে যায়। এমতাবস্থায় কি সালাত আদায় হয়?

৫/ যদি এমন অবস্থা সামনের কাতারে দেখা যায় যে সেখানে ফাক এমন ভাবে রয়েছে যে একজন এর দুই পাসে গ্যাপ, সে ব্যক্তি একপাসে সরে গেলে হয়ত একজনের জায়গা হতে পারে। এমতাবস্থায় করণিয় কি যদি সে ব্যক্তি না সরে?

৬/ তারাবীহ তে দীর্ঘ সময় মনযোগ না থাকলে কি গুনাহ হয় অথবা সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হতে হয়? এরকম হলে উত্তম কি হবে সে সময় তারাবিহ শেষ করে নাকি সেটা চালিয়ে যাওয়া শেষ পর্যন্ত?

৭/ জেনারেল শিক্ষিত দের জন্য ইলম অর্জন এর শুরু টা কিভাবে করা উচিত?

৮/ যদি কখনো কাম প্রবৃত্তি চরমে চলে যায় সে ক্ষেত্রে হস্তমৈথুনের দ্বারা অথবা কোলবালিশ ব্যবহার করে এবং কল্পনার দ্বারা বীর্যপাত কি জায়েজ?
জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
এগুলো কুরআন সুন্নাহে বর্ণিত নয়, বরং নেককার লোকদের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রমাণিত আমল হিসেবে করা যাবে।
১২ রমজানে করা গেলে ১৩ রমজানে বা রমজানে  পরেও কেন করা যাবে না? অবশ্যই করতে পারা যাওয়া সম্ভব হওয়া উচিত।

(২) জ্বী, করা যেতে পারে।

(৩) আপনি সম্পূর্ণ কাতারের অনুসরণ করবেন। 

(৪) কাতারে ফাক থাকলে সালাত আদায় হবে ঠিক তবে মাকরুহ হবে।

(৫) নিজের মাধ্যমে গ্যাপ সৃষ্টি যাতে না হয়, সেদিকে যথেষ্ট সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। যথাসম্ভব ফাকা জায়গা  না রাখার চেষ্টা করতে হবে।

(৬) মনযোগের সাথে তারাবিহ পড়ার চেষ্টা করা।

(৭) জেনারেল শিক্ষিত ভাইরা ইসলামি অনলাইন মাদরাসায় ভর্তি হয়ে ইলম অর্জনের সূচনা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...