জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এটি ওয়াসওয়াসা জনিত প্রশ্ন।
উক্ত প্রশ্নের জবাব দেয়া হবেনা।
(০২)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজা থাকলে কাঁচা খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না পেতেন তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না পেতেন তাহলে পানি দিয়ে ইফতার করতেন। এরপর মাগরিবের ফরজ নামায আদায় করতেন। ঘরে এসে সুন্নত নামায আদায় করতেন।
হযরত আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه قَالَ : ( كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُفْطِرُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَى رُطَبَاتٍ ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ فَتُمَيْرَاتٌ ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تُمَيْرَاتٌ حَسَا حَسَوَاتٍ مِنْ مَاءٍ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ মাগরিবের নামাযের পূর্বে কিছু তাজা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন।যদি সতেজ- তাজা খেজুর না থাকতো তখন,শুকনা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন।যদি শুকনা খেজুরও না থাকতো,তখন পানি দ্বারা ইফতার করতেন।(সুনানু তিরমিযি-৬৩২)
আনাস (রাঃ) বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়ার আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না পেতেন কয়েকটি শুকনো খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। সেটাও না পেলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে ইফতার করতেন।[সুনানে আবু দাউদ, (২৩৫৬)]
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইফতারের সময় খেজুর খাওয়া ফরজ ওয়াজিব জাতীয় কিছু নয়।
সুতরাং ইফতারের সময় খেজুর দিয়ে রোজা না ভেঙে আগে পানি খেয়ে রোজা ভাঙলে কোনো গুনাহ হবেনা।
(০৩)
হ্যাঁ, অযু হবে।
কোনো সমস্যা নেই।