আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in পবিত্রতা (Purity) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১) নার্সদের অনেক সময় ডিউটি থাকাকালীন পেশেন্ট মারা যায় নার্সদের তাকে টাচ করতে হত, এ অবস্থায় নার্স কি ওযু করে নামাজ পড়তে পারবে, নাকি গোসল করতে হবে।
২) আমার ২৪ তারিখে প্রিয়ড শুরু হয়, এরপর ২ তারিখ পর্যন্ত অন্য কালার স্রাব ছিলো। ৩ তারিখ দিনে সাদা কালারই দেখি কিন্তু উজ্জ্বলতা কম ছিলো নরমাল সাদা স্রাবের থেকে। এরপর রাতে উজ্জ্বল সাদা স্রাব দেখে পবিত্রতা অর্জন করে নামাজ আদায় করি। আমার প্রশ্ন ৩ তারিখ সকালে যে কম উজ্জ্বল সাদা স্রাব দেখেছি তাতে কি প্রিয়ড শেষ ধরবো নাকি রাতে পরিষ্কার সাদা রং আসায় পবিত্রতা অর্জন করছি তাই ঠিক আছে??

এরপর আবার এই মাসে ১৫ তারিখ থেকে রক্ত যাচ্ছে, এক্ষেত্রে দুই হায়েজের মাঝে ১৫ দিন পবিত্রতা অর্জন হয় নি, এটা ইস্তেহাজা। আমার কত তারিখে ১৫ দিন পুরন হবে, হায়েজ ধরবো কত তারিখ থেকে? ৩ তারিখ রাতে পবিত্র ধরেছিলাম এক্ষেত্রে ৩ তারিখ থেকে ১৫ দিন গোনা শুরু করবো নাকি ৪ তারিখ থেকে?

1 Answer

0 votes
by (684,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এ অবস্থায় নার্স অযু করে নামাজ পড়তে পারবে।

(০২)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে ৩ তারিখ জোহর থেকে আপনি পবিত্র হয়েছেন বলে ধরবেন।

৩ তারিখ জোহর থেকে পবিত্রতার দিন গণনা করতে হবে।

১৮ তারিখ ফজরের ওয়াক্ত শেষ হলে আপনার পবিত্রতার ১৫ দিন পুরন হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
তাহলে সাদা রঙ বুঝা গেলেই হায়েজ শেষ ধরে নিবো, যদিও অন্য সময়ের মতো উজ্জ্বল সাদা রঙ আসে নি?
by (684,240 points)
স্পষ্ট আকারে সাদা রঙ বুঝা গেলেই হায়েজ শেষ ধরবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 86 views
...