জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কুরআন প্রথমে আরবীতে কুরাইশদের আঞ্চলিক ভাষায় নাযিল হচ্ছিল, কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে রাসূলুল্লাহ(সা.) একাধিক উপায় কুরআন পড়ার অনুমতি প্রার্থনা করেন। এর প্রেক্ষিতে কুরআন সাত হরফে নাযিল হতে থাকে।
ইবনে আব্বাস(রা.) হতে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ(সা.) বলেন, “জিব্রাইল[আ.] আমার কাছে এক হরফে কুরআন তিলাওয়াত করলেন, আর আমি তাকে ভিন্ন ভিন্ন হরফে তিলাওয়াত করতে বলতে লাগলাম যতক্ষণ না, তিনি সাতটি ভিন্ন হরফে তিলাওয়াত করলেন।” [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ৩২১৯, ইংরেজি অনুবাদ: ৪।৫৪।৪৪২, সুন্নাহ.কম: ৫৯।৩০]
উবাই বিন কা’ব(রা.) হতে বর্ণিত আরেকটি হাদিসের শেষে জিব্রাইল(আ.) বলেন: আল্লাহ আপনাকে আপনার উম্মতের নিকট সাত হরফে তিলাওয়াত করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং যে হরফেই তারা তিলাওয়াত করুক, তারা সঠিক [সাব্যস্ত] হবে। [দ্রষ্টব্য: সহিহ মুসলিম, আরবী: ৭।১৯৪২, ইংরেজি অনুবাদ: ৪।১৭৮৯, সুন্নাহ.কম: ২১৭৮৯০]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাত হরফ তথা সাতটি পদ্ধতি বা ত্বরিকায় যে কুরআন নাযিল হয়েছিল,
এ পদ্ধতি সমূহের নির্ধারণ প্রক্রিয়া নিয়ে উলামাদের মধ্যে অনেক প্রকার মতবেদ রয়েছে।
আল্লামা তাকী উসমানী দাঃ বাঃ উনার লিখিত কিতাব উলূমুল কুরআন গ্রন্থে লিখেন,(যা বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, আল-কুরআনের জ্ঞান বিজ্ঞান নামে)
উক্ত গ্রন্থে তিনি লিখেন,যে সাত হরফে কিরআন নাযিল হয়েছে,সেটা মূলত এক বচন দ্বিবচন, হরকত ইত্যাদির পার্থক্যর দ্বারাই নির্ণিত হবে।এবং বর্তমান মুসহাফে উসমানিতে ঐ সাত হরফ বিদ্যমান রয়েছে।সুতরাং উনার ব্যখ্যা অনুযায়ী সর্বযুগে সাত হরফ লিখিত ছিলো।এবং কিয়ামত পর্যন্ত সাত হরফ লিখিত আকারে বিদ্যমান থাকবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইন্দোপাক মুসহাফে যত আয়াতের মাঝে لا চিহ্ন আছে,এই স্থানে থামলে আগের কিছু অংশ দিয়ে মিলিয়ে পড়া আবশ্যক।
পাশাপাশি কুরআনের যেকোনো আয়াতের মাঝে ওয়াকফের স্থান ছাড়া অন্য কোনো এক অংশে থামলে আগের কিছু অংশ দিয়ে মিলিয়ে পড়া আবশ্যক।