আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (55 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্
উস্তায আমার এক স্টুডেন্টের গার্ডিয়ান পড়াবে কথা দিয়ে অন্য জায়গায় কিছু না বলেই পড়ানো শুরু করে তাই আমি তারই নিকটাত্মীয়  আরেক স্টুডেন্টকে বলি এভাবে কথার বরখেলাপ করা উচিৎ না,আমি খুবই অপমান ফিল করসি। উনি দুইদিন আগেও কনফার্ম করে হঠাৎ ছেলেকে পাঠায়নি উনাদের জন্য আমি অন্য স্টুডেন্টকে সময় দিতে পারব না বলে মানা করে দিসি। এই কথাগুলো বলসি কারণ আমি চাই উনারা জানুক উনারা আমার সাথে অন্যায় করসে। এক্ষেত্রে কি আমার গুনাহ হবে?
আর তাছাড়া পরে উনার আরেক ছেলেকে পড়াতে বল্লেও আমি আমার অসম্মানের কারণে মানা করে দিসি এটাও বলসি। এতে কি গীবত হবে?


আরেকটা কথা, ওই ছাত্র আর তার বালেগ ভাইকে পর্দা মেইনটেইন করে পড়াতাম আলহামদুলিল্লাহ। ওই ছেলে পড়বে না বলায় তার মা আমাকে বলে ছেলের বালেগ ভাইকে আমার সাবালিকা মেয়ে স্টুডেন্টের সাথে পড়াতাম। তখন আমি খুব সম্ভবত বলে ফেলেছিলাম যে ছাত্রীর গার্ডিয়ান রাজি হলে আমার সমস্যা নাই, পরে মনে পড়ছে যে ওদেরকে একসাথে পড়ালে গুনাহ হবে।

পরবর্তীতে দেখা গেসে ছাত্রীর মা রাজি হয়ে গেছে, কিন্তু আমি  বলসি একজনকে যেহেতু পাঠাবেন না আরেকজনকেও পাঠাইয়েন না। এটা সম্পূর্ণ আমি পর্দার কথা ভেবে করেছি। এতে কি আমার গুনাহ হবে? আমিও কি কথার খেলাপকারী হবো? আমার সে মুহুর্তে পর্দার কথা মনে ছিলো না

1 Answer

0 votes
by (676,480 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,

معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ). 

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) 

ছয় ছুরতে কাহারো গীবত করা জায়েজ।
তার মধ্যে ২য় নাম্বার হলোঃ-

 الثاني: الاستعانة على تغيير المنكر ورد العاصي إلى الصواب. وبيانه أن يقول لمن يرجو قدرته على إزالة المنكر: فلان يعمل كذا فازجره عنه ونحو ذلك، ويكون مقصوده إزالة المنكر، فإن لم يقصد ذلك كان حراما. 

(দুই) মন্দকে পরিবর্তন করতে এবং গোনাহগারকে নেকির দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কারো গীবত করা।যেমন এমন কারো কাছে গিয়ে গিবত করা,যে ব্যক্তি ঐ মন্দকাজ সম্পাদনকারীকে ধমক দিতে পারে, ইত্যাদি ইত্যাদি।শর্ত এই যে, মন্দকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যই থাকতে হবে।উদ্দেশ্য যদি অন্য কিছু হয় তখন কিন্তু গীবত করা জায়েয হবে না বরং হারাম হবে।

وقد تجب الغيبة لغرض صحيح شرعي لا يتوصل إليه إلا بها وتنحصر في ستة أسباب الأول : التظلم فلمن ظلم أن يشكو لمن يظن له قدرة على إزالة ظلمه أو تخفيفه . الثاني : الاستعانة على تغيير المنكر بذكره لمن يظن قدرته على إزالته

ছয়টি কারণে গীবত করা জায়েজ আছে। যথা-

১- জুলুম থেকে নিচে বাঁচতে, অন্যকে বাঁচাতে। এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে, যে একে প্রতিহত করতে পারবে।

২- খারাপ কাজ বন্ধ করার জন্য সাহায্য চাইতে এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে যে তা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মন্দকে দূর করার জন্য এমন কাহারো কাছে তাহা বলা যাবে,যারা ঐ স্টুডেন্টের গার্ডিয়ানকে ধমক দিতে পারে,সংশোধনের চেষ্টা করতে পারে।
তাহলে এটি হলা জায়েজ।

আর যদি উপরের কোনোটিই না হয়,তাহলে এভাবে গীবত জায়েজ হবেনা।
হারাম হবে।

গীবতের বৈধ ও অবৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1715

(০২)
এক্ষেত্রে যদিও আপনি কথার খেলাফকারী হবেন,তবে পর্দার কথা ভেবে এমনটি বলায় আপনার গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...